আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

♦ শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা
♦ জুলাই সনদ নিয়ে আশাবাদী
পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় প্রধানের এক পত্রে ভুল বানানের ছড়াছড়ি! সমালোচনার ঝড়

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২, দুপুর ১২:৪৮

Advertisement Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের এক পত্রে প্রায় ১৩টি বানান ভুলে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। একজন বিভাগীয় প্রধানের এমন ভুল মানতে পারছে না খোদ বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরিত অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব ভুল বানান দেখা গেছে। তার প্রেরিত পত্রটি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।  

প্রেরিত পত্র সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বর্তমান অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকা অবস্থায় অন্য একজনকে দায়িত্ব প্রদান প্রসঙ্গে প্রতিকার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র পাঠিয়েছেন জনি পারভীন। যা রেজিস্ট্রার দপ্তর কর্তৃক ৫ জানুয়ারি ইস্যু করা হয়। সেই পত্রটিতেও প্রায় ১৩টি বানানে ভুল করেন তিনি।

পত্রটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘রোকেয়া’ বানানে ‘রোকেযা’ ভুলসহ ‘রেজিস্ট্রার’ বানানে ‘রেজিষ্ট্রার’, ‘দায়িত্ব’ বানানে ‘দাযিত্ব’, ‘বহির্ভূত’ বানানে ‘বহিভূত’, ‘কর্তৃপক্ষ’ বানানে ‘কতৃপক্ষ’, ‘বাতিল’ বানানে ‘বাতলি’, ‘বাধিত’ বানানে ‘বার্ধিত’, ‘গ্রহণ’ বানানে ‘গ্রহন’, ‘আইনি’ বানানে ‘আইনী’ এবং ডিন বানানে ‘ডীন’ এমন সব গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বানান ভুল করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের এক পত্রে এতগুলো বানান ভুল আসলে মেনে নেয়া যায় না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষক হিসেবে বাংলা বানানে আরেকটু সতর্ক থাকা দরকার ছিলো।

এ ব্যাপারে জানতে জনি পারভীনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

প্রসঙ্গত, অর্থনীতি বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অর্থনীতি বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৬ শিক্ষকসহ বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

পরে ২০ ডিসেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২ জানুয়ারি সকাল থেকে অনশন কর্মসূচি এবং বিকেল থেকে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের ‍মুখে গত রোববার ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অর্থনীতি বিভাগের সংকটের সময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। যা ৩ জানুয়ারি ২০২২ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে অফিস আদেশে বলা হয়। এই আদেশের প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরবার এ পত্র পাঠিয়েছেন জনি পারভীন।

মন্তব্য করুন


Link copied