আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছি- বাণিজ্যমন্ত্রী

সোমবার, ৯ মে ২০২২, দুপুর ০৪:৩৫

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রোজা শেষে দাম বাড়বে জেনেই অবৈধভাবে মজুত করে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি করেছেন মিলার থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ীরা।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মিলার-ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসের খেসারত দিতে হচ্ছে। তবে উৎপাদক কোম্পানিগুলো কোনো দায় নিতে রাজি নয়।

সয়াবিন তেলকাণ্ডে সরবরাহ ও সংকট নিয়ে কেন লুকোচুরি জানতে সোমবার (৯ মে) সচিবালয়ে মিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সয়াবিন তেল আমদানিকারকরা।

রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উদ্দেশ্যে ছিল, এ মাসে যেন কোনোভাবেই দাম না বাড়ে। কিন্তু ঈদুল ফিতরের আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই তেলের বাজারে মারাত্বক সংকট দেখা দেয়। বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায়। এ অবস্থায় গত ৫ মে লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ সময় সাংবাদিকদের সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, ডিলার বা খুচরা বিক্রেতারা তেলের দাম বাড়ালে তার দায় কোনো উৎপাদক কোম্পানির নয়।

তেল নিয়ে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে গেছে মন্তব্য করে ফজলুর রহমান বলেন, তেল কিন্তু রয়েছে। তেল আজকেও রয়েছে। তেলের সংকট এখনও সেভাবে হয়নি যেভাবে তেল পাই না, তেল পাই না বলা হচ্ছে।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রোজা শেষে দাম বাড়বে জেনেই অবৈধভাবে মজুত করে মিলার থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে তেলের সংকট সৃষ্টি করেছেন। এ সময় আক্ষেপ করে তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, পুরো ব্যবসায়িক চেইন কথা দিয়েছিল- ‘না, আমরা দাম বাড়াবো না’। সেখানে তারা কথা রাখেননি।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে দাম বাড়াবে বলে তারা ঈদের ৭ থেকে ১০ দিন আগের থেকে তেল মজুত করল। ঈদের পরে ৫ থেকে ৬ তারিখেই তো তেলের দাম বাড়বে, সেক্ষেত্রে তেল মজুত রাখা হয়। দাম বাড়লেই তো তারা বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। আবার আরেকজনের কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে তেল জব্দ করা হয়। এখানেই কারচুপি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রমজানে তেলের দাম চেপে রেখেছিলাম, যেন রমজান মাসে দাম না বাড়ে। রমজানের পরে আলোচনার মাধ্যমে তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে। এ সময় স্বাভাবিক কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের দাম বাড়ানো হবে।

তবে তেলের দাম কমানোর কোনো সুখবর ভোক্তাদের দিতে পারেননি বাণিজ্যমন্ত্রী। 

 

মন্তব্য করুন


Link copied