আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ২৬ জন ছাত্রীর মানববন্ধন

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, বিকাল ০৬:৪৭

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ২৬ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস প্রমোশন না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও মানববন্ধনে অংশ নেয়। 
আজ সোমবার(৩০ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়কে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টা ব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। 
মানববন্ধন চলাকালিন এসময় অষ্টম শ্রেণীতে প্রমোশনের দাবী নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইসরাত জাহান ইশা, শারমিন সাদিয়া ও ময়ূরী আক্তার। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহাবুল ইসলাম, আসমা সুফিয়া খাতুন ও বিউটি বেগম। 
শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনা কালীন সময়ে আমরা ঠিকমতো স্কুলে আসতে পারিনি। পড়াশোনাও ঠিকমতো হয়নি। আমাদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য ছিলো। কিন্তু বার্ষিক পরীায় সব বিষয়ে ফলাফল ভালো করি আমরা। কিন্তু আমাদের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি আসরাফী আমাদের অষ্টম শ্রেনীর ক্লাস প্রমোশন আটকি রেখেছেন। কিন্তু যারা যে যে বিষয়ে অকৃতকার্য ছিলো তাদেরকে প্রমোশন দিয়েছে। আবার নবম শ্রেণীতে ৩ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিয়েছে। তাহলে আমাদের অপরাধ কি প্রশ্ন তুলেন তারা। এর দায় ভার কে নেবে? আমরা কাস প্রমোশন চাই। 
মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটায় সরকার এসএসসি ও  এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাশ দিয়েছে। নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫/৭ বিষয়ে অকৃতকার্যদের ক্লাস প্রমোশন দেয়া হয়েছে। অথচ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাস প্রমোশন দেওয়া হয় নাই। তারা কোথায় যাবে। তাদের ও তো একটা আত্মসম্মানবোধ আছে। নতুন কারিকুলামের সাথে পূর্বের কারিকুলামের কোন মিল নেই। তাহলে কেন সপ্তম শ্রেনীর ২৬ জন ছাত্রীকে কাস প্রমোশন আটকিয়ে রাখা হলো। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে কোচিং ও প্রাইভেট বানিজ্য চলে। যারা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে কোচিং করে তাদের মার্ক ভালো দেয় যারা করে না তাদের মার্ক কম দেয়। তাতে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই পিছিয়ে পরে। অনেকে আবার মার্ক কম পাওয়ার কারণে অকৃতকার্য হয়। এমন ঘটনা ২০১৭ সালেও ঘটেছিল। পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেনীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছিল। তারপরও কোচিং ও প্রাইভেট বানিজ্য বন্ধ হয়নি। এসব বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে অভিভাবকরা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেনীতে প্রমোশনের দাবি তুলেন। 
অভিভাবক বিউটি বেগম অভিযোগ করে জানান, আমার মেয়ে সপ্তম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনীতে প্রমোশন নিয়ে ভর্তি হবে। কিন্ত এক বিষয়ে ফেল করায় তাকেও প্রমোশন দেয়া হয়নি। সবার জন্য আইন একটাই হওয়া উচিত। একই বিদ্যালয়ের অপর ছাত্রীর অভিভাবক আসমা সুফিয়া বলেন, আমার মেয়ে দুই বিষয়ে ফেল করেছে, কিন্ত এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীকে প্রমোশন দিয়েছে। ফেলতো ফেলেই। তাহলে একই প্রতিষ্ঠানে দুই নিয়ম এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিভাবক সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩-৪ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীকে কাস প্রমোশন দিয়েছে। অথচ এখানে উল্টো আইন তৈরী করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। 
নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ফেরদৌসি আশরাফী  এ ব্যাপারে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ৫৩ জন শিক্ষক মিলে রেজুলেশন করে ক্লাস প্রমোশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে দুই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষার গুনগত মান যাচাই বাচাই করে ক্লাস প্রমোশন দেয়া হয়েছে, এটা আমার একক কোন সিদ্ধান্ত নয়। আর এ নিয়ে কারা  মানববন্ধন করেছে সেটা আমার জানা নেই। অভিভাবকরা যদি হাইকোর্টেও যায়, প্রধানমন্ত্রী এবং শিামন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করে তারপরও আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবো না। 

মন্তব্য করুন


Link copied