আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২২ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫
‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

তিস্তাপাড়ে হাহাকার
‘আইতোত হঠাৎ করে নদীর পানি এক্কেবারে বাড়ি গেইল, ‘কেমন করি খাওয়া দাওয়া করমো, সেই চিন্তা বাহে’

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

আইসিটি আইন সংশোধন
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও কামাল

মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই : সারজিস আলম

মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই : সারজিস আলম

সংসদে নারীদের জন্য আলাদা ৩০০ আসনের প্রস্তাব

সংসদে নারীদের জন্য আলাদা ৩০০ আসনের প্রস্তাব

বেরোবি অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪, রাত ০৮:১৯

Advertisement

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বাসিন্দা ও নদীবিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপলের পরিচালক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন নদী আন্দোলনকারী এই সংগঠক।

রবিবার (২৫ আগস্ট)  কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় তিনি জিডি করেন। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জিডি নিবন্ধনের বিষয়টি সাংবাদিকদের  নিশ্চিত করেছেন।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ০১৭২৮৯১১৭৩৪ নম্বর থেকে তুহিন ওয়াদুদের মুঠোফোনে কল করে জীবননাশের হুমকি দেন এক ব্যক্তি। ড. তুহিন ওয়াদুদ রবিবার রাজারহাট থানায় জীবননাশের হুমকিতে নিরাপত্তা ও প্রতিকার চেয়ে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।ড. তুহিন ওয়াদুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘হুমকিদাতা নিজের পরিচয় দেননি। হুমকিদাতা বলেছেন, আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের অস্তিত্ব শেষ করে দেবেন।’

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাজারহাটে চাকিরপশার নদী সুরক্ষার দাবিতে কয়েকবছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমি নিজে এই আন্দোলনের সমন্বয়ক। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের। সেকারণেই দখলদারদের পক্ষে কেউ এই হুমকি দিয়েছেন বলে ধারণা করছি। পুলিশ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’

প্রসঙ্গত, রাজারহাটের চাকিরপশার নদীর কয়েকটি মৌজা বিল শ্রেণিভুক্ত। নদীটির ২০০ একরের বেশি জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি দখলমুক্ত করে নদী উদ্ধারে আদালতের নির্দেশনা আছে। বর্তমান ওই কয়েকটি মৌজাভুক্ত জমির খাজনা গ্রহণ, খারিজ, বিক্রি বন্ধ আছে। জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে ১৪১ একর এলাকাকে মুক্ত জলাশয় ঘোষণা করা হয়েছে। অবশিষ্ট দখল উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন


Link copied