দিনাজপুর: শীতে কাঁপছে,দিনাজপুর। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। যা এ মৌসুমে দিনাজপুরের সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুধু শীত নয়, হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। শনিবারবাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং ঘন্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ নির্ণয় করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার। তিনদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিলো এ অঞ্চল।
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে তুষারপাতের মতো ঝরেছে শিশির। শনিবার সূর্যের উঁকিঝুঁকি মেরেছে। কবে কমেনি শীত। শীতের দাপটে কাঁপছে পুরো দিনাজপুর। প্রতিনিয়তই ঘটছে, তাপমাত্রার ছন্দপতন। কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে হত-দরিদ্র,ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।শীতবস্ত্রের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া অনেকে বের হচ্ছে না বাসা-বাড়ি থেকে। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুঁটছেন। তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক,রাস্তা-ঘাট ও হাটবাজার।
কুয়াশার দাপটে দূর্ঘটনা এড়াতে রেল লাইনে ট্রেন ও বিভিন্ন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কর হে হেডলাইট জ্বালিয়ে।এর পরেও সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে।
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগ হাসপাতাল,ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স। শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হারে থাকায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না।সূর্যের আলোর কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্য কিছুটা কমতে পারে এবং দিনের অবস্থার ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী দুই থেকে তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও কিছুটা হ্রাস পাওয়ার আশংকা রয়েছে।