আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

তিন বছরে অগ্রগতি মাত্র ৪২ শতাংশ!

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ০৭:১৬

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক :  প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে। এর মধ্যে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ। অর্থ বরাদ্দের অভাবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব রহমান। তিনি জানান, ব্যয় না বাড়িয়ে এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, তিস্তা সেচ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প পাস হয়। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প কমান্ড এলাকার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি সেচ ক্যানেল নির্মাণে বিশেষ এ প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। তবে শুরুর পর থেকে কাজ চলছে ধীরগতিতে। অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু পর্যাপ্ত বারাদ্দ না পাওয়ায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে।

এদিকে, তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প সূত্র জানান, প্রকল্প এলাকায় সেচ দেওয়া এবং নদীর প্রবাহমাত্রা ঠিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে স্বাভাবিক প্রবাহমাত্রা থাকা প্রয়োজন ২০ হাজার কিউসেক পানি। শুধু সেচ প্রকল্প চালাতেই প্রবাহমাত্রা থাকা প্রয়োজন প্রায় ১৪ হাজার কিউসেক এবং নদীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৬ হাজার কিউসেক পানি। কিন্তু শুকনো মৌসুমে তিস্তায় প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায় না। শুষ্ক মৌসুমে বোরো আবাদের সময় ব্যারাজ পয়েন্টে কয়েক বছর ধরে পাওয়া যায় মাত্র ৩-৪ হাজার কিউসেক পানি। যে সামান্য পানি তিস্তায় পাওয়া যায় তার সবটুকুই সেচ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের সেচ খালের মাধ্যমে কৃষিজমিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied