আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২১ আগস্ট ২০২৫ ● ৬ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২১ আগস্ট ২০২৫
ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর

ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর

গভীর খাদে ব্যাংক খাত

গভীর খাদে ব্যাংক খাত

আজিজ খান-ফারুক খান ভাইবেরাদারের অর্থ পাচার

বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা
আজিজ খান-ফারুক খান ভাইবেরাদারের অর্থ পাচার

ভারতে পালিয়ে থাকা আ.লীগ নেতাদের জীবনযাত্রা যেমন চলছে

ভারতে পালিয়ে থাকা আ.লীগ নেতাদের জীবনযাত্রা যেমন চলছে

সেনাবাহিনীর সহায়তায় বদলে গেল কুড়িগ্রাম কারাগারের চিত্র

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ০৬:৪৯

Advertisement Advertisement

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত: ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট  সরকারের পতনের পর কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে সৃষ্টি হয় অচল অবস্থার। কয়েদিদের নিরাপত্তা দিতে নিজেদেরই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে কারাগারের রক্ষীরা। বিভিন্ন স্থানের মতো কুড়িগ্রামের জেলখানায়ও  তৈরী হয় নিরাপত্তা সংকট। এমন সংকট মুহুর্ত নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। কারারক্ষীদের সাথে ৯ জন সেনা সদস্যরা চার শিফটে ভাগ হয়ে কারাগারের গেইট থেকে শুরু করে ভিতরের সব জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।সেই সাথে ৫ আগস্টের আগে জেলখানার ভিতরের নানা অনিয়ম দূর করার প্রয়াস চালান।

কারাগারে কয়েদিদের সাথে দেখা করা,তাদের জন্য শুকনো খাবার পাঠানো,পিসি (কয়েদিদের জন্য টাকা) লাগানো এসবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে কিন্তু বর্তমান সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কারাগারে শৃংখলা ফিসে এসেছে বলে জানান এক কয়েদির আত্মীয় নাগেশ্বরী থেকে আসা শামীম মিয়া।

তিনি আরো জানান,আগে দেখা করতে আসলে অনেক সময় বসে থাকা লাগতো,কোনো কোনো দিন দেখাও মিলতোনা কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই।
রাজারহাট থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আগে দেখা করতে টাকা লাগতো এখন লাগেনা।আবার পিসি লাগিয়ে দিলে ওখানে কম পাইতো এখন সে সমস্যাগুলাও হয়না।খাবারের মানও আগের তুলনায় ভালো হইছে।

এ ব্যপারে সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন  বলেন,৫ আগস্টের পর দেশের কারাগার গুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলো  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।সেই সাথে কারাগারের ভিতরের নানা অনিয়ম,খাবারের মান যাচাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ সব দিকেই আমরা নজর রাখছি। এবং জেলার আইন শৃংখলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ সহ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম জেলার জেল সুপার এ.জি মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে কারাগারে  অনিয়ম ও ত্রুটি ছিলো আমরা সেগুলো দূর করেছি।  এক শত ৬০ জনের ধারন ক্ষমতার বিপরীতে এখন তিন শত ৭৫ জন কয়েদি রয়েছে।।নিজস্ব বাবুর্চি নাই। দুজন কয়েদি ভালো রান্না করে তাই এখন খাবার মান অনেক ভালো।।  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা সহ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রতিদিন খাবারের মান যাচাই করছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় কুড়িগ্রামবাসী যেনো ভালো জেল সেবা পায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি।

মন্তব্য করুন


Link copied