নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার নামাজের পর বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।বড় জামায়েতর লক্ষ্যে সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই মঞ্চের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন তারা।
নামাজের পর বিপুলসংখ্যক মানুষ মিছিল করে মঞ্চের দিকে অগ্রসর হলে, পুলিশ তাদের পথ আটকে দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জনতা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে ব্যারিকেড ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রাস্তার দিক থেকে, কাকরাইল মসজিদের দিকের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দেখা গেছে। জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা মঞ্চে উঠে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এনসিপি।
শুক্রবার সকালেও যমুনার পাশের প্রাঙ্গণ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত। রাতভর অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা সকালেও তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। তাদের কণ্ঠে ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি। আন্দোলনকারীরা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। যা এখনো চলছে।
এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হচ্ছেন।