নিউজ ডেস্ক: বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা এক ধরনের বৈষম্য বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বলেন, ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা ঠিক হয়নি। এতে বৈধ পথে উপার্জনকারীদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি হবে। তাছাড়া এই পদক্ষেপে সরকারের খুব বেশি আয় হবে বলে মনে করছে না সিপিডি।
তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে এবারও পেনশন ও কৃষি ভর্তুকি সংযুক্ত রাখা হয়েছে। যা বাদ দিলে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ খুব একটা বেশি নয়। তার মতে, বাজেটের দর্শন, বৈষম্যবিহীন সমাজ। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে তা পুরোপুরি সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
সিপিডি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী, বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কম রাখা উদ্বেগজনক। রাজস্ব জিডিপির দীর্ঘমেয়াদী আকাঙ্ক্ষা নিম্নগামী, সম্পদ আহরণে উপযুক্ত পদক্ষেপ বা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। করমুক্ত আয় তিন লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজারে বৃদ্ধি ভালো পদক্ষেপ। তবে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয় বলে জানান ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, শুল্ক যৌক্তিককরণে কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়বে। কিন্তু এই পদক্ষেপ দরকার ছিল। তবে কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ আরও অনেকে।