নিজস্ব প্রতিবেদক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে কাউনিয়ায় তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয় ২৯.০৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব ফেলেছে কাউনিয়ার ১৭ চরাঞ্চলে। ইতোমধ্যেই গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা, ঢুষমারা চর, তালুক সাহাবাজ, হয়বৎ খাঁ ও আজম খাঁ চরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাদাম চাষিরা।
হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেক জমির উঠতি বাদাম খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চরের কৃষকরা নৌকা নিয়ে জমি থেকে বাদাম তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে তিস্তার চরে ৮৭০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু ৮৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
তিস্তা চরের বাদাম চাষি আনারুল ইসলাম বলেন, আমি ১৫০ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত এক-তৃতীয়াংশ বাদাম তুলতে পেরেছি। বাকি বাদাম খেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। দেখি শেষ পর্যন্ত কতটা খেতের বাদাম উদ্ধার করতে পারি।
তালুক শাহবাজ গ্রামের লাভলু মিয়া, দবির উদ্দিন ও মহবর রহমানসহ অন্য চাষিরা বলেন, পানি বাড়ায় তাদের বাদাম খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বালাপাড়া ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম ও জিয়া বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উজানে তিস্তার পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে কাউনিয়ায় নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। চাষিরা ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে সরকারের সহায়তা কামনা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. তানিয়া আকতার বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক বাদাম খেত তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।