আর্কাইভ  রবিবার ● ৮ জুন ২০২৫ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৮ জুন ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

ত্যাগের মহিমা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ঈদুল আজহা উদযাপন

ত্যাগের মহিমা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে লক্ষাধিক মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়

শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, দুপুর ০৩:১৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  উপমহাদেশের বৃহত্তম ঈদগাহ, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড়মাঠে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে এবং মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। দিনাজপুর সদর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে মুসল্লিরা এখানে অংশ নিতে আসেন।

এবারের ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর আন-নুজুম ইসলামিক একাডেমির পরিচালক মাওলানা মাহফুজুর রহমান। নামাজ শেষে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমান এবং ১৯৭১ ও ২৪-এর শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

ইমাম মাওলানা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার রহমতে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিরা সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করতে পেরেছেন। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করেছি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া করেছি।’

ঈদের জামাতে অংশ নেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

নীলফামারী থেকে এসেছিলেন রংপুরের একটি হিমাগারের ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার (৬৩)। তিনি বলেন, ‘আটবার এ মাঠে নামাজ আদায় করেছি। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ছিল। এত মুসল্লির সঙ্গে একসাথে নামাজ আদায়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’

মুসল্লিদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী শৌচাগার ও ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিকেল টিম। পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুষ্ঠুভাবে নামাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে ছিল কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। মাঠ ও আশপাশ এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার, চেকপোস্ট, ড্রোন ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চলেছে সার্বক্ষণিক নজরদারি। গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি র‍্যাব, পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন সদা তৎপর।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড়মাঠের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট ঈদগাহ মিনারটি দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ স্থাপত্য। এ মিনারের দুই ধারে রয়েছে ৬০ ফুট উচ্চতার দুটি মিনার, মাঝখানে দুটি ৫০ ফুট উচ্চতার মিনার এবং ৪৭ ফুট উচ্চতার মেহরাব। পুরো মিনার সিরামিক ইট দিয়ে নির্মিত এবং প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাতে এটি আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।

২০১৭ সাল থেকে এখানে নিয়মিত ঈদের নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এটি পর্যটকদের কাছেও একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।

মন্তব্য করুন


Link copied