আর্কাইভ  শনিবার ● ১৪ জুন ২০২৫ ● ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১৪ জুন ২০২৫
ইরান ও ইসরায়েলের নজিরবিহীন সংঘাত মোড় নিতে পারে যেদিকে

ইরান ও ইসরায়েলের নজিরবিহীন সংঘাত মোড় নিতে পারে যেদিকে

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান পাকিস্তানের

ইরানের প্রতি সমর্থন
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান পাকিস্তানের

আল্লাহর কসম, ইরানে হামলার ফলাফল হবে গুরুতর: আয়াতুল্লাহ খামেনি

আল্লাহর কসম, ইরানে হামলার ফলাফল হবে গুরুতর: আয়াতুল্লাহ খামেনি

তেহরানের আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০: ইরানি টিভি

তেহরানের আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০: ইরানি টিভি

সন্ধিক্ষণে জাতীয় পার্টি: বন্ধুর পথে নবযাত্রা নাকি পতনের পূর্বাভাস?

সোমবার, ৯ জুন ২০২৫, বিকাল ০৫:৫৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি কার্যত একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই অভ্যুত্থান দমনে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের অভিযোগ এনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত মে মাসে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টিও এই ধরনের একটি শঙ্কার ভেতরে আছে যে, হয়তো আওয়ামী লীগের ‘প্রধান দোসর’ হিসেবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বস্তুত এই দাবিটি জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং পরে তাদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির তরফে অনেকদিন ধরেই আছে।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর এবং এর অব্যবহিত পরেই কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির ভব্যিষৎ রাজনীতি আপাতদৃষ্টিতে অনিশ্চিত।

গত ২৯ মে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকা থেকে রংপুরে যান। তিনি নগরীর সেনপাড়ায় তার পৈতৃক বাসভবন স্কাই ভিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এদিন বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম লেখেন, “জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর। বিরোধী দলের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে আওয়ামী লীগকে সরকারি দলের বৈধতা দিয়েছিল এই জাতীয় পার্টি। প্রত্যেক ইলেকশনের আগে অবৈধ সরকারি দলের বিরোধিতার নামে ভন্ডামি করতো। তারপর নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে জিএম কাদের ভারতে গিয়ে নেগোসিয়েশন করে ডামি বিরোধী দল সেজে বসে থাকতো। সেই জিএম কাদের এখনো বাইরে কিভাবে? সরকারকে ধাক্কা না দিলে কি কাজ হয় না? নাকি প্রত্যেকটা কাজের জন্য ছাত্র-জনতাকে নতুন করে মাঠে নামতে হবে?”

সারজিসের এই পোস্টের পরে ওইদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে জিএম কাদেরকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ও ‘র’-এর এজেন্ট আখ্যা দিয়ে তার রংপুরে অবস্থানের প্রতিবাদে জানাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। রংপুর প্রেসক্লাব এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে জিএম কাদেরের বাসভবনের দিকে রওয়ানা হয়। তারা জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয়। ঘটনার পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এরপর ৩১ মে দিবাগত মধ্যরাতে ফেইসবুকে সারজিস লেখেন, “রংপুরে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের গ্রেপ্তার না করে অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদেরকে বিব্রত করলে আগামীকাল রংপুরের রাজপথে আবার দেখা হবে‌। আর আমরা সেখানে সামনের সারিতে থাকবো।”

এর মধ্যে জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ইস্যুতে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ে—যেখানে ওই কর্মকর্তা হুঁশিয়ার করে বলেছেন যে, তারা আর কোনো মব ভায়োলেন্স সহ্য করবেন না।

এরপর পয়লা জুন বিকালে সারজিস সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে আরেকটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, “জিএম কাদেরের বাড়ির পুরানো বাইক আর সামান্য আগুন নিয়ে যাদের এত চিন্তা তারা বিগত নয় মাসে আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনিদেরকে ধরতে কয়টা অভিযান চালিয়েছে? কতজনকে গ্রেপ্তার করেছে?” সারজিস আরও লিখেছেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই।”

এর পরদিন লালমনিরহাট সদর আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় (২০১৮) বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে জিএম কাদের এবং তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। প্রায় সাড়ে ছয় বছর আগের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় এ মামলাটি করেন খলিলুর রহমান নামের ওই পোলিং এজেন্ট।

এই মামলার ঘটনাটিকেও জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং তৎপরবর্তী পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবার সুযোগ নেই। বরং গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং তাদের কর্মসূচি প্রতিহত করারই ধারাবাহিকতা। এইসব ঘটনাই বলে দেয় যে, জাতীয় পার্টির ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং এনসিপির অবস্থান বেশ কঠোর এবং তার মূল কারণ এই দলটিই ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক সঙ্গী। ফলে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যতের মতো জাতীয় পার্টির ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান যে জিরো টলারেন্স সেটি নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভী রহমানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। কেননা আইভী রহমান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটি ভিন্ন ধরনের রাজনীতি করে গেছেন বছরের পর বছর। যে কারণে অনেকেই মনে করছিলেন বা রাজনীতি-সচেতন মহলে এরকম আওয়াজ ছিল যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আইভী রহমানের মতো মোটামুটি ক্লিন ইমেজের কিছু রাজনীতিবিদকে নিয়ে আওয়ামী লীগ হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে বা একটা ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠিত হবে। কিন্তু দেখা গেল, আলোচিত এই তিনজনের মধ্যে আব্দুল হামিদের থাইল্যান্ডে যাওয়া প্রচুর কূটতর্ক হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে তিনি ফিরে এসেছেন। বস্তুত বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পার হয়ে তার থাইল্যান্ড চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় ‍শুরুর পরপরই আইভী রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সংবাদমাধ্যমের খবর, সাবের হোসেন চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা এটি মামলায় গত বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। দুদিন পরই তিনি জামিনে মুক্তি পান। তখনই তাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় যে, হয়তো তাকে নেতৃত্বে রেখে একটি নতুন আওয়ামী লীগ গঠিত হবে বা পুনর্গঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন তার বাইরে অন্য কেউ এই দলের প্রধান হবেন বা প্রধান হতে রাজি হবেন, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের কমিটিতে ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতাকে বাদ দেওয়া এবং শেখ হাসিনা ছাড়া শেখ পরিবারের অন্য কাউকে যুক্ত না করার কথা শোনা যায়। যদিও এর সবকিছুই নির্ভর করছে দেশের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তার ওপর।

জাতীয় পার্টির ভবিষ্যতও নির্ভর করবে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সক্ষমতার ওপর। সরকার ও এনসিপি আগামী দিনগুলোয় জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপিসহ অন্যান্য দলের বিরুদ্ধে মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলে জাতীয় পার্টিই শুধু নয় বরং আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী অন্যান্য দল যেমন হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ আরও কিছু দল বা তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিটি জোরালো হবে।

তবে জাতীয় পার্টির ব্যাপারে এনসিপির যে অবস্থান, অন্য দলগুলোর ব্যাপারে তাদের অবস্থান ততটা কঠোর নয়। তার একটি বড় কারণ, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ অন্যান্য দলের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী। দ্বিতীয়ত, এই দলটি বৃহত্তর রংপুরে এখনও প্রভাবশালী। ফলে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সরজিস আলম জাতীয় পার্টির বিষয়ে বেশি সোচ্চার। কারণ জাতীয় পার্টি তার এলাকায় বেশি শক্তিশালী এবং আগামী নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে এনসপিকে একইসঙ্গে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে মোকাবিলা করতে হবে—তাতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে পারুক বা না পারুক।

মনে রাখতে হবে, কোনো একটি দল নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও বা না নিলেও ওই দলের ভোটাররা ঘরে বসে থাকেন না। তারা বিকল্প কাউকে না কাউকে ভোট দেন। সুতরাং, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও এই দুটি দলের ভোট আর যাই হোক এনসিপি পাবে না। ফলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে এনসিপির অবস্থান যত কঠোর, অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অন্য দলগুলোর অবস্থান ততটা কঠোর নয়।

বাস্তবতা হলো, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই আওয়ামী লীগের প্রধান সঙ্গী হওয়ার পর থেকে দল হিসেবে জাতীয় পার্টির শক্তি ও গুরুত্ব কমেছে। এর মধ্যে দশম সংসদে জাতীয় পার্টির একইসঙ্গে সরকারে ও বিরোধী দলে থাকার মধ্য দিয়ে যে ‘সরকারি বিরোধী দল’ তকমা পেয়েছে, তাতে দলটি আরও বেশি দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়েছে। এভাবে জাতীয় পার্টির ধীরে ধীরে বৃহত্তর রংপুরকেন্দ্রিক একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হতে যাচ্ছে বলেও অনেকে মনে করেন। কিন্তু রাজনীতিতে একটি স্লোগান হলো: বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই। অর্থাৎ যাকে বেশি বাধা দেওয়া হয় বা যাকে নির্মূলের চেষ্টা করা হয়, তার প্রতি জনসমর্থন বাড়তে থাকে। সহানুভূতি বাড়তে থকে। যেমন আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর বিএনপি ও জামায়াতকে নির্মূল করতে চেয়েছে। কিন্তু তাতে দল দুটি নির্মূল হয়নি, বরং আরও শক্তিশালী হয়েছে। কেননা বলাই হয়, কোনো রাজনৈতিক দলকে মোকাবিলা করার প্রধান অস্ত্র হলো ওই দলের আদর্শ ও কর্মসূচির চেয়ে উন্নত আর্দশ ও কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি—এমনকি বিএনপি ও জামায়াতের আদর্শ ও কর্মসূচির বিপরীতে অধিকতর উন্নত ও গণতান্ত্রিক আদর্শ ও কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে পারে; মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে মানুষ হয়তো নৌকা-ধানের শীষ-লাঙল ও দাঁড়িপাল্লার বদলে তাদেরকেই ভোট দেবে। কিন্তু আদর্শ ও কর্মসূচির বদলে যদি আক্রমণ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে জাতীয় পার্টিকে নির্মূলের চেষ্টা করা হয়, সেটি আখেরে জাতীয় পার্টিকেই শক্তিশালী করবে। বিগত বছরগুলোয় দলটি যেমন রংপুরকেন্দ্রিক একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হওয়ার পথে হাঁটছিল, বাধা পেলে বা তাদেরকে নির্মূল করার চেষ্টা হলেও জাতীয় পার্টির হয়তো আরও শক্তিশালী হবে।

অতএব, আগামী দিনগুলোয় জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতি ও ভোটের মাঠে কতটা শক্তিশালী থাকবে অথবা দুর্বল হয়ে পড়বে, সেটি নির্ভর করবে অনেকগুলো ‘যদি কিন্তু’র ওপর। সেনা ছাউনিতে জন্ম নেওয়া দলটি এখন বন্ধুর পথে নবযাত্রা করবে, নাকি কালের গহ্বরে বিলীন হয়ে যাবে–তা জানবার জন্য বোধ হয় খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না আমাদের।

মন্তব্য করুন


Link copied