আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

বিএনপি ৫০-১০০ আসনের বেশি পাবে না, মন্তব্যের জবাবে যা বললেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ

সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, বিকাল ০৭:৫৭

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক-শোতে অংশ নিয়ে বিএনপির সম্ভাব্য আসনসংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আলোচনায় উঠে আসে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর দেওয়া মন্তব্য— “বিএনপি এখন যে পরিস্থিতিতে আছে, তাতে ৫০ থেকে ১০০টির বেশি আসন পাবে না।”

জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “বাংলাদেশে আমরা এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছি, যেখানে কোন দলের নির্বাচনী শক্তি কোথায় আছে, তা বলা সত্যিই কঠিন। ২০০১ সালের পর থেকে দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়নি। ২০০৮ সালে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ হয়েছে, ২০১৪ সালে একক নির্বাচন, ২০১৮ তে ‘রাতের নির্বাচন’, আর ২০২৪ এ ছিল ‘ডামি নির্বাচন’। ফলে ২০০১ সালের পর জনগণের প্রকৃত ভোটে কোন দল কতখানি জনপ্রিয়, সেটা জানা যায় না।”

তিনি বলেন, “৯৬ সালের নির্বাচনও সমস্যাযুক্ত ছিল, কারণ উভয় জোট অংশগ্রহণ করেছিল। ফলে কারা আসলে কতটুকু ভোট পেয়েছে, সেটাও নিশ্চিত বলা যায় না। তাই ১৯৯১ সালের পর বাংলাদেশের জনগণের সরাসরি চয়েসের ভিত্তিতে সিঙ্গুলার ভোটের যে প্র্যাকটিস, তা আসলে আর দেখা যায়নি। প্রায় ৩৫ বছর আমরা জানিই না জনগণের প্রকৃত ভোট কোন দলের দিকে।”

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, “বিএনপির রাজনীতি সম্ভবত তার জন্মের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দলটি এতদিন দিল্লি এবং আওয়ামী লীগ-বিরোধী অবস্থান থেকে রাজনীতি করেছে। জনগণের সামনে তারা ছিল বিকল্প শক্তি— যে কি না ভারতের বা আওয়ামী লীগের 'গোলামী' নয়, বরং আলাদা একটি অবস্থান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।”

তিনি বলেন, “দিল্লি-বিরোধী অবস্থান এখন শুধু বিএনপির নয়— এনসিপি, জামায়াত, এমনকি এবি পার্টিও দিল্লি-বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে। একই সঙ্গে এরা সবাই আওয়ামী লীগ-বিরোধীও। ফলে এই জায়গায় বিএনপির 'অবস্থানগত সুবিধা' এখন আর একচেটিয়া নেই। বিএনপির এখন নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তারা কেন এই বিরোধী জোটগুলোর মধ্যে ‘সেরা বিকল্প’।”

“নতুন ভোটার, বিশেষ করে ৩৫ থেকে ৪০ বছরের নিচে যারা আছে, তাদের কাছে পৌঁছাতে হলে বিএনপিসহ সব দলকেই কর্মসূচি ও আদর্শিক ভিন্নতা প্রমাণ করতে হবে,” বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, “আগে বিএনপি বলত, আমরা আওয়ামী লীগ না, আমরা দিল্লি বিরোধী, আমরা ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল। কিন্তু এখন অনেক দলই একই বক্তব্য দিচ্ছে। ফলে বিএনপিকে এখন ‘হোম পিচে’ খেলতে হচ্ছে— মানে, একচেটিয়া কোনো অবস্থান নেই, বরং প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হচ্ছে।”

তিনি সবশেষে বলেন, “বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— কেবল আওয়ামী লীগ বা ভারতের বিরোধিতা নয়, বরং জনগণকে বোঝানো যে তারা কেন অন্য বিরোধী দলগুলোর তুলনায় ভালো বিকল্প।”

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/16aQdBt7t9/

মন্তব্য করুন


Link copied