আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫ ● ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫
ইরানে স্টারলিংক নিষিদ্ধ, ইসরায়েল-সহযোগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড

পার্লামেন্টে নিরাপত্তা আইন পাস
ইরানে স্টারলিংক নিষিদ্ধ, ইসরায়েল-সহযোগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড

ইরান কি এবার পারমাণবিক বোমা বানাবেই? জনতার চাপ তুঙ্গে!

ইরান কি এবার পারমাণবিক বোমা বানাবেই? জনতার চাপ তুঙ্গে!

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

গাজায় একদিনে প্রাণ গেল ৭২ জনের, মোট নিহত ছাড়াল ৫৬ হাজার ৩০০

ইসরায়েলের হামলা
গাজায় একদিনে প্রাণ গেল ৭২ জনের, মোট নিহত ছাড়াল ৫৬ হাজার ৩০০

২৬ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিচারে অগ্রগতি দেখছেন আবু সাইদের সহযোদ্ধারা

বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, বিকাল ০৭:২১

Ad

নিউজ ডেস্ক:  আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে বিচারের পথে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন শহীদের সহযোদ্ধা ও আন্দোলনকারীরা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশিদকে প্রধান আসামি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের গত সোমবারের এ সিদ্ধান্ত রংপুরসহ দেশের শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত সংস্থা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও সহযোগীর ভূমিকা পালন করেন। তারা জানান, আবু সাঈদকে হয়রানি, হুমকি ও নজরদারির নির্দেশ এসেছিল প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে। এমনকি ফরেনসিক রিপোর্ট পরিবর্তনেও পুলিশ কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ছাত্রনেতা সোহেল রানা বলেন, আবু সাঈদ জুলাইয়ের আইকনিক শহীদ। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হবেÑএটাই সবার প্রত্যাশা। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।

ছাত্রনেতা মুরসালীন মুন্না বলেন, আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াক এবং নির্দোষ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তার হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গণশুনানির ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে আরো গ্রহণযোগ্যতা পেত। যারা দায়িত্বে থেকে একজন ছাত্রকে হত্যার পেছনে মদত দিয়েছে, তারা যেন আর নৈতিকতা নিয়ে কথা বলতে না পারে। আমরা বহুবার বলেছি, এটি কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নয়; বরং একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সেটাই প্রমাণ করেছে।

সহযোদ্ধা শামসুর রহমান সুমন বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। তবে মনে করি, আরো কিছু পুলিশ সদস্য এ হত্যার জন্য দায়ী, যারা ঘটনার আগে আবু সাঈদকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিল। আমরা বিশ্বাস করি, এ বিচার শুধু আবু সাঈদের নয়; বরং জুলাইয়ের অন্য শহীদদের বিচারও ত্বরান্বিত করবে। এটি ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আবু সাঈদের সহযোদ্ধা শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ৩০ জনের সম্পৃক্ততার কথা বলায় আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরকে সাধুবাদ জানাই। তার বক্তব্যে হত্যাকাণ্ডের মূলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এবং সহযোগীর ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনÑএমনটাই স্পষ্ট উঠে এসেছে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ওই ঘটনায় আহত আবরার সিয়াম বলেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড এখন আর শুধুমাত্র একটি মামলার বিষয় নয়, এটি বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে জবাবদিহি ও নৈতিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়ের দাবি, বিচার হোক দ্রুত ও কার্যকরভাবে।

মন্তব্য করুন


Link copied