আর্কাইভ  রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫ ● ২২ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫
এখনও শহীদ মীর মুগ্ধকে অজান্তে খুঁজে ফেরে তার পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
এখনও শহীদ মীর মুগ্ধকে অজান্তে খুঁজে ফেরে তার পরিবার

রংপুরের  প্রিয় সহ জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
রংপুরের প্রিয় সহ জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

রংপুরে তিনজন সহ গেজেটে নাম নেই ২৩ জুলাই শহীদের, অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
রংপুরে তিনজন সহ গেজেটে নাম নেই ২৩ জুলাই শহীদের, অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় পরিবার

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস পালনের আহ্বান

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস পালনের আহ্বান

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব

পথে বসেছে পুলিশের গুলিতে শহীদ বিপ্লবের পরিবার

রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, দুপুর ০৩:০৬

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুর এলাকায় থাকতেন বিপ্লব শেখ। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত বছরের উত্তাল জুলাইয়ে সড়কে বহু লাশ ও তাজা রক্ত দেখেন তিনি। দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে গিয়ে জনগণের অকাতরে প্রাণ দেওয়ার ঘটনা তাকে বিপ্লবী করে তোলে। শামিল হন আন্দোলনে। ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে গোপনে তার লাশ গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাটের বুড়ি গাংনী গ্রামে দাফন করে পরিবার।

জানা গেছে, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় থাকতেন বিপ্লব। তার মৃত্যুর পর এলাকায় চলে আসে পরিবার। এর চার মাস পর একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম। অসচ্ছল সংসারের চাকায় গতি আনতে ঢাকায় চাকরি করতেন বিপ্লব। তার মৃত্যুর পর ঝুঁকির মধ্যে পড়ে নবাগত সন্তান ও স্ত্রীর জীবন। শিশুটি শুধু বাবার আদর থেকেই বঞ্চিত হয়নি; বরং অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তার ভবিষ্যৎ।

নিহতের বাবা পারভেজ শেখ বলেন, ‘অসচ্ছল পরিবার চালানোর জন্য ছেলেকে ঢাকায় চাকরি করতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে ফিরে আসে লাশ হয়ে। দেশের জন্য জীবন দিয়ে গর্বের অংশ হয়েছে। কিন্তু পথে বসেছে দুটি পরিবার। সংসার জীবনের শুরুতে বড় হোঁচট খেয়েছে তার স্ত্রী। আমার নিজেরই সংসার চালানো দায়, এর ওপর বিপ্লবের স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে পড়েছি মহাবিপদে। সরকার এবং বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, নইলে ফুটফুটে নাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে।’

নিহতের স্ত্রী রিক্তা বলেন, ‘বিপ্লব ১৯ জুলাই বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় হাসপাতালে তার লাশ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি বিপ্লবের মাথা ও কোমরের পেছনের দিকে তিনটি গুলি লেগেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত লাশ নেওয়ার জন্য বললে আমরা মরদেহ নিয়ে রাতেই বাগেরহাট চলে আসি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি যেন আমার নবজাতক সন্তান নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি এবং আমার সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, এই সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে আমার এতটুকুই চাওয়া।’

বাগেরহাটের যুবদল নেতা সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজন ও হারুন আল রশীদ বলেন, রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় থাকতেন বিপ্লব। তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। জুলাই বিপ্লবে খুনি হাসিনা সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যা দেখে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন এই তরুণ শ্রমিক। তিনিও অংশ নেন আন্দোলনে, ছিলেন সম্মুখসারিতে। সেখানে পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন। তার পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied