ঠাকুরগাও প্রতিনিধিঃ এসএসসির ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মিতু আক্তার রেশি (১৬) নামে এক পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন।
অপরদিকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরমিনা আক্তার নামে আরেক পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে পৃথক দুই ঘটনা।
মৃত মিতু আকতার রেশি বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের দোগাছি ক্ষিরাপুকুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গণিত, উচ্চতর গণিত ও রসায়ন বিষয়ে ফেল করেছে সে।
হাসপাতালে ভর্তি অপর পরীক্ষার্থী আরমিনা আক্তার চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও কুয়াটল গ্রামের আনছারুল হকের মেয়ে। মানবিক বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ফেল করেছে।
দুপুরে ফল প্রকাশের সময় বাড়ীতে একা ছিলেন মিতু আক্তার রেশি। নিজের মোবাইলে ফল দেখার পর শয়ন ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। মিতুর ছোট ভাই ঘরের দরজা বন্ধ দেখে দৌড়ে মাঠে বাবা মাকে খবর দিলে বাড়ীতে দরজা ভেঙ্গে মিতুকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিতুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে।
মিতুর বাবা রুহুল আমিন জানান, ফল প্রকাশের আগের দিন মেয়েকে বুঝিয়েছিলাম। মেয়ে নিজেই বলল কোন সমস্যা নেই বাবা। আমরা সবাই মরিচ খেতে ছিলাম, নিজে ফলাফল দেখে, নিজেই এমন কাজ করবে কেউ ভাবতেই পারেনি।
অপরদিকে আরমিন আক্তার এক বিষয়ে ফেল করায় বকাঝকা করেছিলেন মা। অভিমানে ঘরে থাকা তরল বিষ পান করে বমি করতে শুরু করে সে। দেখেই বুঝতে পারে সে বিষপান করে।
আরমিন আক্তারের চাচি ইসামন বিবি জানান, মায়ের উপর অভিমান করে বিষপান করেছে আরমিন। দ্রুত বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আহাদুজ্জামান সজিব জানান, মিতু হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে। আরমিনাকে ওয়াশ করে বিষমুক্ত করা হয়েছে। ভর্তি করা হয়েছে। আমরা নজরে রেখেছি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।