সাদিয়া আক্তার সুচি
প্রথমবারের মতো তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬। ৪৮ টি দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই বিশ্বকাপ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ টি অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামে, যা আয়োজনের পরিসর ও বৈচিত্র্য কে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বকাপের ভেন্যুর মধ্যে ১১ টি যুক্তরাষ্ট্রে, ৩ টি মেক্সিকোতে এবং ২ টি কানাডায় অবস্থিত। প্রতিটি স্টেডিয়াম আধুনিক অবকাঠামো, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দর্শকদের জন্য উন্নত সুবিধা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১১ স্টেডিয়াম
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে সর্বাধিক ম্যাচ। দেশটির ভেন্যুগুলো প্রযুক্তি, ধারণক্ষমতা ও নিরাপত্তায় বিশ্ব মানের।
মেটলাইফ স্টেডিয়াম : এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত। এটির ধারন ক্ষমতা ৮২,৫০০ জন। সম্ভাব্য ফাইনাল ভেন্যু হিসেবে বিবেচিত।
এটি এন্ড টি : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ৮০, ০০০ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম। বিশাল স্ক্রিন ও ছাদযুক্ত নকশার কারনে বিশ্বজুড়ে আলাদা পরিচিতি রয়েছে।
সোফি স্টেডিয়াম : এটি লস্ এঞ্জেলসে অবস্থিত ৭০,০০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন স্টেডিয়াম।
এছাড়া অন্যান্য স্টেডিয়াম গুলো হলো লুমেন ফিল্ড (সিয়াটল), হার্ড রক স্টেডিয়াম (মায়ামি), লেভিস স্টেডিয়াম (সান ফ্রান্সিসকো), লিনকন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ড ( ফিলাডেলফিয়া), এলোয়ান স্টেডিয়াম ( কানসাস সিটি), মার্সিডি বেঞ্জ ( আটলান্টা), জিলেট স্টেডিয়াম ( বোস্টন), এনআরজি স্টেডিয়াম (হিউস্টন)।
মেক্সিকোর ৩ স্টেডিয়াম
এস্তাদিও অ্যাজটেকা স্টেডিয়াম, মেক্সিকো সিটি তে অবস্থিত ৮৭৫০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এটি একমাত্র স্টেডিয়াম যেখানে দুইবার ( ১৯৭০ ও ১৯৮৬) বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। এছাড়াও এস্তাদিও BBVA মন্তরেই তে অবস্থিত এবং এস্তাদিও আকরন গুয়াদালহারা তে অবস্থিত।
কানাডার ২ অভিষেক ভেন্যু :
প্রথমবারের মতো কানাডা ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। বিসিসি প্লেস স্টেডিয়াম ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত, ৫৪, ৫০০ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম এবং বি এম ও ফিল্ড টরেন্টো তে অবস্থিত। এটির ধারণ ক্ষমতা ৪৫,৭০০ সাময়িক ভাবে বাড়িয়ে টুর্নামেন্টের উপযোগী করা হয়েছে।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি বিশ্ব ফুটবলের নবযুগের সূচক। যেখানে তিন দেশের একতা, লক্ষ কোটি মানুষের উন্মাদনা, ১৬ টি স্টেডিয়ামের গৌরব ধরা দিবে সবুজ গালিচায়।
লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।