স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর প্রতিবেশী এক দাদার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০ বছর বয়সী এক শিশু। এ ঘটনায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জামবাড়ী তহশিলদারপাড়ার বাসিন্দা মৃত বাছরা আলী প্রামানিকের ছেলে মোকছেদ আলী প্রামানিক (৫৬)। তার ১১ বছরের নাতনির খেলার সাথী ১০ বছর বয়সের শিশু একা (ছদ্মনাম)। গত ২৯ আগস্ট(শুক্রবার) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে মোকছেদ আলী তার নাতনির সঙ্গে খেলার সময় ওই শিশুটিকে নিজের শোবার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করে এবং ২০ টাকা দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি ও জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির প্রচন্ড জ্বর আসে এবং তার প্রসাবের রাস্তা ও পা ফুলে যায়। পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে শিশুটি তার ওপর ঘটে যাওয়া এই জঘন্য ঘটনার কথা জানায়। এরপর তারা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেয়। তারা বলে, এতে শিশুটিরই ক্ষতি হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গত দুইদিন ধরে দেনদরবার করেও কোনো ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় অবশেষে শিশুটির বাবা সোমবার সকালে থানায় গিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটি অসুস্থ থাকায় বর্তমানে সে নীলফামারী ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা দায়েরের বিলম্বের সুযোগে অভিযুক্ত মোকছেদ আলী প্রামানিক পালিয়ে গেছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
