আর্কাইভ  সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মৃত্যুর আগে হাসিনার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়ে গেছেন বদরুদ্দীন উমর

মৃত্যুর আগে হাসিনার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়ে গেছেন বদরুদ্দীন উমর

‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা মডেলে’ ছেলেমেয়েকে দলীয় নেতৃত্বে আনছেন শেখ হাসিনা

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা মডেলে’ ছেলেমেয়েকে দলীয় নেতৃত্বে আনছেন শেখ হাসিনা

যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা

ডাকসু নির্বাচন
যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন, কাকে বেছে নিচ্ছেন শেখ হাসিনা?

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ০৪:৫৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ১৯৮১ সাল থেকে টানা ৪৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। একাধিকবার নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে দলীয় নেতৃত্বে তার অনুপস্থিতিতে কে বা কারা কীভাবে দলের হাল ধরবেন এ নিয়ে কোনো পর্যায়েই তিনি প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী আওয়ামী লীগ কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দলটির কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করে রেখেছে।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম কঠোর সীমাবদ্ধতার মধ্যে চলছে। তার গতিবিধি, দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা সব ব্যাপারেই অনেক কড়াকড়ি আছে। এমতাবস্থায় দলের উত্তরাধিকার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন শেখ হাসিনা।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, শেখ হাসিনা তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল– এই দুজনকেই নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। পাশাপাশি এখানে একটা ভূমিকা থাকবে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিরও।

বিবিসির জানায়, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তাদের দলীয় নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে যে ‘মডেল’ অনুসরণ করছে, আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও নিজের ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঠিক সেটাই করতে চাইছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইতিমধ্যে সাইমা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে গিয়েছেন এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ এখন মার্কিন নাগরিক ও আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা, তবে মায়ের পর দলের প্রধান মুখ ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনিই। দেশ-বিদেশের মিডিয়াকে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছেন ঘন ঘন।

বিবিসি আরও জানায়, সায়মা ওয়াজেদ যেহেতু মায়ের সঙ্গে একই শহরে ও একই টাইম জোনে রয়েছেন, শেখ হাসিনাকে তিনি সরাসরি সাহায্য করতে পারছেন অনেক বেশি। অনলাইনে মায়ের দেওয়া ভাষণের খসড়া তৈরিতে, কর্মসূচির ক্যালেন্ডার স্থির করতেও সাহায্য করছেন।

এমন কী, বাইরের দর্শনার্থীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরাসরি দেখা করার ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক বিধিনিষেধ আছে– তাই সে কাজটাও এখন অনেকাংশেই সায়মা ওয়াজেদের ওপর বর্তেছে। গত দু'মাসে তিনি বেশ কয়েকবার এরকম বৈঠকও করেছেন।

তবে এই বিষয়টি আওয়ামী লীগের ভেতরে এতটাই স্পর্শকাতর একটি ইস্যু, যে তারা কেউই এটি নিয়ে ‘অন রেকর্ড’ মুখ খুলতে চায়নি বলে জানিয়ছি বিবিসি বাংলা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত দাবি করছেন, এই বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে এখনও কোনো আলোচনাই হয়নি।

আরাফাত বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আপনি যে সাকসেসন প্ল্যানের কথা বলছেন সেটা এখন আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই পড়ে না। কে কী পদ-পদবী পেলেন, সেটা এখন ভাবারই সময় নয়। দলের মধ্যেও আমরা এটা নিয়ে এখন কথাবার্তা বলছি না। আপনারা জানেন, আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সেই লক্ষ্যেই সব চেষ্টা নিয়োজিত করা হচ্ছে।’

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘তবে এটুকু বলতে পারি – সভানেত্রীর পরিবারের সব সদস্য যেমন, তেমনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী যে যেখানে আছেন সবাই এই একটা লক্ষ্যেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন।’

আরাফাতের কথায়ও ইঙ্গিত ছিল, সজীব ওয়াজেদ তো আগে থেকেই ছিলেন – এখন সায়মা ওয়াজেদও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন।

নিজের ছেলেমেয়েকে অঘোষিতভাবে দলের নেতৃত্বে একেবারে সামনের সারিতে নিয়ে আসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ পরিচালনার ক্ষেত্রেও সভাপতি শেখ হাসিনা বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন বলে জানায় বিবিসি বাংলা।

কাগজে-কলমে এখনও যিনি আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদকের পদে আছেন, সেই ওবায়দুল কাদের দলের এই নতুন কাঠামোতে একেবারেই উপেক্ষিত।

প্রায় দশ মাস আগে ভারতে চলে এলেও তিনি এখনও দলীয় সভাপতির দেখাই পাননি বলে বিবিসি নিশ্চিত হতে পেরেছে।

শেখ হাসিনা বরং বেশি ভরসা রাখছেন দলের তিনজন নেতার ওপর– যারা প্রত্যেকেই আপাতত কলকাতায়।

এরা হলেন বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও একদা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তথ্য সূত্র: বিবিসি বাংলা

মন্তব্য করুন


Link copied