 
                                                                        
                                                                        
                                        
নিউজ ডেস্ক:  ৩৩ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এরই মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ। ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনে উদগ্রীব হয়ে আছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ডাকসু নির্বাচনের দুই দিনের মাথায় জাকসু নির্বাচন আয়োজন করায় সবার দৃষ্টি এখন জাহাঙ্গীরনগরের দিকে।
জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের জাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, সম্মিলিত শিক্ষার্থী সম্মিলনের আবদুর রশিদ জিতু, সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মো. শেখ সাদী হাসানের মধ্যে। এ ছাড়া ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাব্বী হোসেন, সোহানুর রহমান, মো. আবদুল মান্নান, মো. রাব্বী হোসেন ও মো. মাহফুজুল ইসলাম। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মো. মাজহারুল ইসলাম, সম্মিলিত শিক্ষার্থী সম্মিলনের মো. শাকিল আলী, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। এ ছাড়া এই পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আবু রায়হান কবির রাসেল, মো. শরণ এহসান, জাহিদুল ইসলাম, মো. তানবীর হোসেন। এদিকে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়। পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। কেন্দ্রীয় সংসদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ছয়জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নয়জন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে ছয়জন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আটজন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আটজন, সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আটজন, নাট্য সম্পাদক পদে পাঁচজন ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনজন। এ ছাড়া সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছয়জন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে সাতজন, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে আটজন, সহকারী সমাজসেবা সম্পাদক (নারী) পদে সাতজন, সহকারী সমাজসেবা সম্পাদক (পুরুষ) পদে সাতজন, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক পদে সাতজন, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে সাতজন। নির্বাহী সদস্য (নারী) পদে ১৬ জন ও নির্বাহী সদস্য (পুরুষ) পদে ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে হল সংসদে ছাত্রদের ১১টি হলে ১৬৫টি পদের বিপরীতে ৩১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৬১টি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। ৭টি পদে কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় সেগুলো শূন্য থাকবে। বাকি ৯৭টি পদে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। অন্যদিকে ছাত্রীদের ১০টি হলে ১৫০টি পদের মধ্যে মাত্র ৩৪টি পদে ভোট হবে। ৫৮টি পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। আর বাকি ৫৮টি পদে কোনো মনোনয়নপত্র জমা না পড়ায় সেগুলো শূন্য থাকবে। ভোট গ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৫০০ পুলিশ, ৭ প্লাটুন বিজিবি ও ৫ প্লাটুন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।