আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ১ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার পাশের হারে ধস

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার পাশের হারে ধস

এইচএসসিতে ধস নামল পাশের হারে

এইচএসসিতে ধস নামল পাশের হারে

সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে ৪২৭ কোটি টাকা

সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে ৪২৭ কোটি টাকা

ঐতিহাসিক আল-রাবিয়া মসজিদ আবার খুলে দেওয়া হয়েছে

ঐতিহাসিক আল-রাবিয়া মসজিদ আবার খুলে দেওয়া হয়েছে

সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে ৪২৭ কোটি টাকা

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ০৯:৫৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিচ্ছে পরিশোধ করছে তার চেয়ে বেশি। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের ব্যাংক ঋণ ৪২৭ কোটি টাকা কমেছে। চলতি অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার এক লাখ চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে। তবে ব্যয়ের তুলনায় আয় বেশি হওয়ায় কমছে ব্যাংক ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ কমে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকায় নেমেছে। গত জুন শেষে যা ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঋণ কমেছে ৪২৭ কোটি টাকা। অবশ্য প্রথম তিন মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের নিট ঋণ কমেছে চার হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ নিয়েছে চার হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি বেড়ে ৯৬ হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঋণ বৃদ্ধি টাকা ছাপানোর মাধ্যমে হয়েছে তা নয়। বরং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি যুক্ত হওয়ায় সংস্থাটির কাছে ঋণ স্থিতি ছয় হাজার ৪২০ কোটা টাকা বেড়েছে।

জুন শেষে আইএমএফের ঋণ ছিল যেখানে ১০ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর শেষে তা ১৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা হয়েছে। এই ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যুক্ত হওয়ার কারণে বেড়েছে।

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর ব্যাংক থেকে সরকার নিট ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকার ঋণ নেয়। গত চার অর্থবছরের মধ্যে যা ছিল সর্বনিম্ন। আর গত অর্থবছরের জন্য সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা কম। মূলত আইএমএফসহ বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে অর্থবছরের শেষ সময়ে বিপুল পরিমাণ ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আবার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উন্নয়নকাজে ধীরগতি চলছে। যে কারণে সরকারের তেমন ঋণ
চাহিদা নেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রধান নীতি সুদহার রেপোতে ১০ শতাংশ সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। দুই শতাংশের ঘরে থাকা মূল্যস্ফীতি এখন ৮ শতাংশের ঘরে আছে। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর নীতি সুদহার পরিবর্তন করা হবে। শিগগিরই এই সুদহার কমবে বলে গভর্নর আশা করছেন।
ব্যাংকের বাইরে অভ্যন্তরীণ উৎসে সঞ্চয়পত্রে গত জুলাই-আগস্ট সময়ে সরকারের ঋণ এক হাজার ৫৭২ কোটি টাকা বেড়ে তিন লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে অবশ্য বেড়েছিল চার হাজার
২২৪ কোটি টাকা। এর পরও অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের নিট ঋণ ছয় হাজার ৬৩ কোটি টাকা কমেছিল।

মন্তব্য করুন


Link copied