আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ১ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২৫
তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি
তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

হাসিনা-কামালের ‘চরম দণ্ড’ চেয়েছি: চিফ প্রসিকিউটর

হাসিনা-কামালের ‘চরম দণ্ড’ চেয়েছি: চিফ প্রসিকিউটর

প্লট দুর্নীতি: পরিবারসহ শেখ রেহানার বিরুদ্ধে সাতজনের সাক্ষ্য

প্লট দুর্নীতি: পরিবারসহ শেখ রেহানার বিরুদ্ধে সাতজনের সাক্ষ্য

দিনাজপুর বোর্ডে ৪৩ কলেজে কেউই পাস করেনি

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারে বড় ধস নেমেছে। এ বোর্ডে এবার পাসের হার ৫৭.৪৯ শতাংশ, যেখানে ২০২৪ সালে এই হার ছিল ৭৭.৫৬ শতাংশ। সে হিসাবে এ বছর পাসের হার কমেছে ২৭.০৭ শতাংশ।

এবার ৬৬৬টি কলেজের মধ্যে ৪৩টি কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ২০টি। অন্যদিকে, শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যা ১১টি। এ বছর পরীক্ষায় অনিয়মের কারণে ২৭ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী এই ফলাফল নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৪৩টি কলেজ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে রংপুর জেলার ৪টি কলেজ থেকে অংশ নেয় ১৫ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়া নীলফামারীর ১০টি কলেজের ৪০ জন, কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজের ৫৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৬টি কলেজের ২৫ জন, লালমনিরহাটের ৫টি কলেজের ১৪ জন, দিনাজপুরের ৪টি কলেজের ১৭ জন, পঞ্চগড়ের ৩টি কলেজের ১১ জন এবং গাইবান্ধার ২টি কলেজের ৬ জন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।

যেসব কলেজ থেকে কেউ পাস করেনি: 

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ৯ জন, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর বিলাতেরা হাই স্কুল ও কলেজের ৪ জন, পীরগাছা উপজেলার কান্দিরহাট স্কুল ও কলেজের ১ জন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়াইবাড়ী কলেজের ১ জন।

নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজের ১জন, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল এন্ড কলেজের ১জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল এন্ড কলেজের ৫জন, জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের ১৫ জন, একই উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী স্কুল এন্ড কলেজের ৬জন, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের ৩জন, ডিমলা উপজেলা জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজের ২জন, একই উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের ৩জন, ডিমলা সীমান্ত কলেজের ২জন ও ডিমলা গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজের ২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেনি।

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার চার চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজের ১৫ জন, টাপুর চর স্কুল ও কলেজের ৪ জন, ফুলবাড়ী উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজের ১২ জন, রাজারহাট উপজেলার সিংড়া দাবড়িহাট কলেজের ১০ জন, নাগেশ্বরী উপজেলার চিলাখান মডেল কলেজের ৬ জন, কুটিপাড়া ডাঙ্গা স্কুল ও কলেজের ৩ জন, সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের ১ জন, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজের ২ জন এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ডোলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজের ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর মহিলা কলেজের ৮ জন, আমানতুল্লাহ ইসলামিয়া একাডেমি স্কুল ও কলেজের ৫ জন, ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল কলেজের ৪ জন, রানীশংকৈল উপজেলার গোগড় কলেজের ৫ জন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বাগুলাবাড়ী হাই স্কুল ও কলেজের ২ জন এবং পীরগঞ্জ উপজেলার এখতিয়াপুর শহীদ সালাহউদ্দীন স্কুল ও কলেজের ১ জন পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেউ পাস করেনি।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনারজাট স্কুল ও কলেজের ৫ জন, শিয়ালখাওয়া কলেজের ৩ জন, দক্ষিণ ঘানাশ্যাম স্কুল ও কলেজের ২ জন, হাতিবান্ধা উপজেলার আমিনুর রহমান কলেজের ২ জন এবং আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী স্কুল ও কলেজের ২ জন অকৃতকার্য হয়েছে।

দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট কলেজের ১০ জন, বিরামপুর উপজেলার বেপারীটোলা আদর্শ কলেজের ৩ জন, ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজের ২ জন এবং হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় স্কুল ও কলেজের ২ জন পাস করতে পারেনি।

পঞ্চগড় জেলার বোদা পাইলট বালিকা স্কুল ও কলেজের ৮ জন, তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের ২ জন, বোদা উপজেলার মারেয়া মডেল হাই স্কুল ও কলেজের ১ জন এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গাগর হাই স্কুল ও কলেজের ৫ জন ও সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী মহিলা কলেজের ১ জনও পাস করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৫২.৬৫ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬১.৯২ শতাংশ।

 

দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৭৭৪ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ৪৮৬ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফল- বিজ্ঞান বিভাগে ২৬ হাজার ১৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৬ জন, পাসের হার ৭৬.১২ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ৭৪ হাজার ৮০২ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪১ জন, পাসের হার ৫২.৫১ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৬৯১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ১১৫ জন, পাসের হার ৪২.০৫ শতাংশ।

মন্তব্য করুন


Link copied