আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫
আ. লীগের ভোটাররা কোন দিকে যাবে?

আ. লীগের ভোটাররা কোন দিকে যাবে?

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা

তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি
তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

‘সব শিক্ষার্থী বিবাহিত, তাই পাস করেনি কেউ’

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, রাত ১০:০৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর পঞ্চগড়ে এক অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক চিত্র দেখা গেছে-জেলার তিনটি কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীও এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পঞ্চগড় বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ‘ভর্তির পর সব শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। তাই কেউ পাস করতে পারেনি।’ সকালে ফল প্রকাশের পর জানা যায়, বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ-এই তিন প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৪ জন অনুপস্থিত ছিল। মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেয় মাত্র একজন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ থেকে অংশ নেয় চারজনের মধ্যে দুজন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

 

এই হতাশার কারণ হিসেবে বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর সব শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। এজন্য তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেনি। তাই কেউ পাস করতে পারেনি।’ অন্যদিকে, মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মন শিক্ষক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কলেজের এইচএসসি শাখা ১৪ বছর ধরে এমপিওভুক্ত নয়। চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো শিক্ষকও নেই। শিক্ষক সংকটের কারণেই ফল এমন হয়েছে।’ আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ হাচান আলী অবশ্য ফলাফল বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, ‘ওই তিন কলেজের প্রধানদের শোকজ করা হবে। পাশাপাশি সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করা হবে।’

মন্তব্য করুন


Link copied