আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপি উদ্যোগে  মশাল প্রজ্জ্বলন।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপি উদ্যোগে মশাল প্রজ্জ্বলন।

১১ ঘণ্টা ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে ২ কারখানা

চট্টগ্রাম ইপিজেড
১১ ঘণ্টা ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে ২ কারখানা

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হলেন আ.লীগ নেতার স্ত্রী!

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হলেন আ.লীগ নেতার স্ত্রী!

রাকসুর ৪ কেন্দ্রের ফল: ভিপি-এজিএসে এগিয়ে শিবির

রাকসুর ৪ কেন্দ্রের ফল: ভিপি-এজিএসে এগিয়ে শিবির

কুড়িগ্রামের ৯ কলেজে কেউ পাস করেনি

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ০৪:৪৪

Advertisement

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলায় ৯টি কলেজের কেউই পাস করতে পারেনি।
 
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজ শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর (২০২৪) এ জেলায় শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল ২টি। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় দিনাজপুর বোর্ডের ৬৬৬টি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৩টি কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। শূন্য পাস করা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুড়িগ্রামের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—৯টি। 
 
কলেজগুলো হলো— রাজারহাট উপজেলার  সিংগার ডাবড়ী হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ,. উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ার ছড়া মহাবিদ্যালয় (পূর্ব নাম: রাশেদ খান মেনন মহাবিদ্যালয়),. টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাগেশ্বরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ (পূর্ব নাম: সোশ্যাল কল্যাণ মহিলা কলেজ, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম), নাগেশ্বরী উপজেলার চিলাখানা মডেল কলেজ,নাগেশ্বরী উপজেলার . কুটি পয়ড়াডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার  ধলডাঙ্গা বি.এল. উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের পাশের হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কুড়িগ্রামের দুইটি কলেজ শতভাগ ফেল করেছিল—রৌমারীর শৈলমারী এম এল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নাগেশ্বরীর গোপালপুর এম আর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
 
স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক সংকট, পাঠদানে অনিয়ম এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এই ফলাফলের জন্য দায়ী।
 
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, “আমরা ইতোমধ্যে ফলাফল বিশ্লেষণ শুরু করেছি। যেসব কলেজের ফলাফল শূন্য, সেগুলোর বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।” এদিকে, শিক্ষার মানোন্নয়নে কুড়িগ্রামের অভিভাবক ও সচেতন মহল সরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন

মন্তব্য করুন


Link copied