আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

নাঈমুলের ১৬৩ অ্যাকাউন্টে ৩৮৬ কোটি জমার প্রায় সবই উত্তোলন

শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ০৫:২৯

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৬৩টি, যেখানে জমা হয়েছে মোট ৩৮৬ কোটি টাকা। এসব হিসাব থেকে ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা উত্তোলন করার পর বর্তমানে জমা রয়েছে মাত্র ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আরো জানা গেছে, নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত হিসাবের সংখ্যা ৯১টি। এসব হিসাব থেকে ২৪৯ কোটি টাকা জমা হয়েছে, যার মধ্যে ২৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাবের মধ্যে মাত্র ৬৪ লাখ টাকা রয়ে গেছে। তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৩টি। এ হিসাবের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা জমা হয়েছিল এবং তিনি এরই মধ্যে ১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। 

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাবেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে। তার তিন মেয়ে আদিবা, লাবিবা, এবং যূলিকা নাঈমের ব্যাংক হিসাবেও যথাক্রমে ৩৫ লাখ, ১ কোটি ২৫ লাখ, এবং ৬১ লাখ টাকা জমা রয়েছে। যদিও তারা এই টাকা প্রায় পুরোপুরি উত্তোলন করেছেন।

এছাড়া নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবার মোট ১২টি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, যার মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করেছেন। এসব কার্ডের সীমা ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৭ টাকা হলেও বর্তমানে বকেয়া পরিমাণ মাত্র ৪৮ হাজার ৪০৮ টাকা।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাবগুলি গত ২৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক ফ্রিজ করা হয়। তবে এর আগেই তারা বেশিরভাগ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার পরিবার আত্মগোপনে চলে যান এবং তার পরিচালিত পত্রিকাগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied