আর্কাইভ  রবিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ● ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

রংপুরের তিন ইউনিয়নে মেয়াদোত্তীর্ণ পরিষদ: নির্বাচন না প্রশাসক?

রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, রাত ০৯:৩২

Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।। রংপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি—চন্দনপাট, সদ্যপুষ্করনী ও হরিদেবপুরে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘদিন পরিষদে অনুপস্থিত থাকা এবং হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায়—এই দুটি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে চন্দনপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রহমান পদত্যাগ করে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায়, ওই ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (ঈশ্বরপুর) ইউপি সদস্য মো. তাজুল ইসলাম।

নির্বাচনের পর চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর। সেই হিসেবে গতকাল (২৩ নভেম্বর ২০২৫) ইউনিয়নটির পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হতে বাকি মাত্র ৮ দিন।

কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও নতুন নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে—এখন মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ কোন নিয়মে পরিচালিত হবে?

২০২৪ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী বিষয়টি পরিষ্কার। আইনের ধারা ৮ (খ)-এ বলা হয়েছে—
“দৈব-দুর্বিপাক বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, সরকার লিখিত আদেশে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।”
অর্থাৎ, মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসকের নেতৃত্বেই পরিচালিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

চন্দনপাট ইউনিয়নে এখন সেই অবস্থাই তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ায় সাধারণ মানুষের সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চন্দনপাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন,
“পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন নির্বাচন কবে হবে জানি না। পুরনো পরিষদ কতদিন দায়িত্বে থাকবে—এ নিয়ে সবাই দ্বিধায় আছে।”

হরিদেবপুর ইউনিয়নের এক নারী বাসিন্দা বলেন,
“বিভিন্ন সেবা, ভাতা তালিকা থেকে শুরু করে এলজিএসপি প্রকল্প—সবকিছুতেই এখন ধোঁয়াশা। দ্রুত সিদ্ধান্ত না হলে সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ।”

এ বিষয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, “আইন অনুযায়ী পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে এবং নতুন নির্বাচন না হলে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ—যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জরুরি।
পাঁচ বছর পূর্তির পর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক স্থিতি নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।

মন্তব্য করুন


Link copied