নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি লাইভ এবং নেক্সট টিভি নামে দুটি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরি এবং গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সুযোগ সৃষ্টি করতেই টেলিভিশন দুটির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, যাচাই বাছাই চলছে, এই সরকারের মেয়াদে আরও টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেওয়া লাইসেন্স দেওয়া টেলিভিশনগুলো অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ করেনি, করবেও না। তাই গণঅভ্যুত্থানের অবদানকারীদের জন্য এটা সরকারের নতুন সুযোগ। সব ধরনের নীতিমালা মেনেই নতুন টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার, যা নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন করতে চান তারা। সবার মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কমিশন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করতে চাই। নির্বাচন সামনে রেখে সাংবাদিকদের সুরক্ষা জরুরি।
মিডিয়া মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘মিডিয়া মালিকরা কর রেয়াতসহ যেসব সুবিধা সরকার থেকে পাবেন, সেভাবে যেন কর্মীদেরও সুবিধা দেন।’ তবে তিনি নিশ্চিত করেন, ‘সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করবে, এমন নয়।’
তিনি বলেন, আমরা চাই, বহু স্বর আসুক। আমি যেহেতু আমি কোনো মিডিয়া বন্ধ করব না, সেহেতু ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যারা আছে তাদের মিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে এটা নতুন আইনে দিতে পারলে আমার জন্য সুখকর হতো।
মাহফুজ আলম জানান, সরকার মিডিয়া শিল্পে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হোক।’
তিনি আরও জানান, ওটিটি থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে যত ধরনের কন্টেন্ট আছে, সেগুলোকে কীভাবে একটি নীতিমালায় আনা যায়, সেই চেষ্টাও থাকবে।