নিউজ ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি নৌকা আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এসব নৌযান থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
সংগঠনের মুখপাত্র সাইফ আবু কেশেক জানান, আটক হওয়া যাত্রীদের মধ্যে কেবল স্পেন থেকেই ছিলেন ৩০ জন। ইতালি থেকে ২২, তুরস্ক থেকে ২১ ও মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট আটক হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০১ জনেরও বেশি।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ও নৌকা আটকের পরও আমাদের মিশন থামছে না। এখনও প্রায় ৩০টি নৌযান গাজার উদ্দেশে রয়েছে। দখলদার বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে অংশগ্রহণকারীরা গাজার উপকূলে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি নৌ-সেনারা ফ্লোটিলার কিছু নৌকায় উঠে স্বেচ্ছাসেবীদের জিম্মি করছে। এর আগে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী নৌযান থেকে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্লোটিলার কয়েকটি জাহাজ আটক করে নিরাপদে একটি বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে যাত্রীদের রাখা হয়েছে এবং গ্রেটাসহ অন্যদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তারা ফ্লোটিলার বহরে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইসরায়েল।
মানবাধিকারকর্মীরা ইসরায়েলের এ পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ ও ‘ডাকাতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর টানা আগ্রাসনের মুখেও যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে বাকি নৌযানগুলো। বহরে থাকা সংগঠকরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি নৌকা এখনও অগ্রসর হচ্ছে এবং তারা বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।