মো: পারভেজ হাসান: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর ক্যাম্পাসে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গাছ থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে নেই তেমন কোনো ফলজ গাছ। ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে সবুজ ছায়া থাকলেও শিক্ষার্থীরা ফলমূলের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ছায়াবৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। পলাশ, মেহগনি, নিম, শিরিষ, কড়ই, বটগাছসহ নানা ধরনের গাছ ক্যাম্পাসকে সবুজ করে তুললেও ফলজ গাছের উপস্থিতি প্রায় শূন্য।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “এত বড় ক্যাম্পাসে গাছপালা থাকা অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে আমাদের মতো আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু ফলজ গাছ থাকলে তা একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত, অন্যদিকে মৌসুমী ফলও পাওয়া যেত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে। লাল সবুজ সোসাইটি রংপুর টিমের সভাপতি সাদিয়া ইয়াসমিন বলেন, "গাছের ছায়া আছে, কিন্তু ফল নেই বিষয়টা যেন একরকম অসম্পূর্ণ ভালোবাসার মতো। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানের নয়, পরিবেশ সচেতনতাও শেখায়। সেখানে ফলদ গাছ না থাকা শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্য নয়, শিক্ষার্থীদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতাকেও বঞ্চিত করছে।"
বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবির ইলাহী বলেন, "ক্যাম্পাসে হাজার হাজার গাছ কিন্তু তেমন কোন ফলের গাছ নাই। অন্যনা ক্যাম্পাসে অসংখ্য ফলের গাছ, তারা প্রতি সিজন এ অনেক ধরনের ফল খান কিন্ত আমাদের না থাকায় আমরা খেতে পারি না। ক্যাম্পাসে গাছ লাগানোর জন্য অবশ্যই পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রশাসনের উদ্যোগে ফলের গাছ লাগানো উচিত।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতে, ফলজ গাছের অভাব শুধু পুষ্টি নয়, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক দিক দিয়েও একটি বড় ঘাটতি তৈরি করছে। তাই প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।