নিউজ ডেস্ক: বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে পাঁচদিনের এই দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী মাহিগঞ্জ জেবিসেন রোডের রামকৃষ্ণ আশ্রমে এ কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
‘কুমারী মায়িকি জয়, দুর্গা মায়িকি জয়’ স্লোগানে কুমারী দেবীকে মণ্ডপে আনা হয়। দুর্গা প্রতিমার সামনে কুমারী দেবীর বেদি স্থাপন করে জীবন্ত দুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজার শুরুতেই মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনা করা হয়। পরে পাঁচটি পবিত্র উপকরণে কুমারী দেবীকে আরাধনা করেন পুরোহিত ও ভক্তরা।
৭ বছরের অপ্রাপ্ত মধুবন্তী ঘোষকে দেবী দুর্গার সাজে সাজিয়ে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর শহরের এই কুমারী পূজা একমাত্র মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমেই আয়োজন করেন সনাতনীরা। কুমারী পূজার মাধ্যমে অশুভ শক্তি বিনাশ, হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে মুক্তি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আবেদন জানান পূজারীরা। পাশাপাশি নারীর প্রতি মাতৃতুল্য শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এই পূজার আয়োজন করা হয়।
পূজার সময় ঢাক-ঢোল, শঙ্খ, কাঁসর ও ঘণ্টার সুরে মণ্ডপ মুখর হয়ে ওঠে। ভক্তরা ঘুরে ঘুরে উলুধ্বনি দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন। শেষ পর্যায়ে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভোর থেকে শত শত ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের সভাপতি ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, আমাদের পূজায় আনন্দ উৎসবের কোনো ঘাটতি নেই। শারদীয় দুর্গাপূজা আড়ম্বর পরিবেশে উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতিই সেটির প্রমাণ। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন।