ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, রংপুর ও ভোলাসহ বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দ্বীপ এবং নদীর চরে বসবাসকারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-'২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বেলেন, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে রংপুর ও ভোলা জেলার চরে বসবাসকারী জনসাধারণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং বন্যা মোকাবিলা করার জন্য ৯০০টি জলবায়ু সহনশীল ঘর মেরামত করা হবে। ৫০০ পরিবারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩০টি সোলার ন্যানো-গ্রিড এবং ২০টি ক্ষুদ্র দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সৌরচালিত হিমাগার ও সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪টি জলবায়ু অভিযোজন শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জলবায়ু সচেতনতা প্রচার অভিযানের বাস্তবায়ন করা হবে।
পর্যালোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।