আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

সাংবাদিককে হুমকী, বন্দুকযুদ্ধে আহত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জিডি

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ০৭:১২

Advertisement Advertisement

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। লালমনিরহাটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজুকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী কালামের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে হাতীবান্ধা থানায় সাধারন ডায়েরি(জিডি) করেছেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু। 

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি দৈনিক মানবকন্ঠ ও বাংলাদেশ জার্নালের লালমনিরহাট প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। 

অভিযুক্ত কালাম একই উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনায়নের উত্তর জাওরানী গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।

জিডি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাওরানী গ্রামে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গ্রামীন মেলায় বসান কালামসহ স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি। সেই গ্রামীন মেলায় পুতুল নাচের নামে চলে অশ্লীন নৃত্য, জুয়া আর মদকের রমরমা বাণিজ্য। যুব সমাজ রক্ষায় এ মেলা বন্ধের দাবিতে গত সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রান মসুল্লীরা। সেই বিক্ষোভের ভিডিও নিজেস্ব ফেসবুকে আপলোড করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কালাম মঙ্গলবার দুপুরে ০১৭২২৬৪৯১০৯ নম্বর থেকে সাংবাদিক সাজুকে কল করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে হাত পা ভেঙে দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেন। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার হাতীবান্ধা থানায় কালামের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরি(জিডি) করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু বলেন, মেলার নামে অশ্লীন নৃত্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় আলেম সমাজ। যার একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছি এবং তা বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে স্ট্যাটাস দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হাত পা ভেঙে মেরে ফেলার হুমকী দেয়া হয়েছে। আমি হুমকীর অডিও ক্লিপসহ থানায় জিডি করেছি। 

অভিযুক্ত কালাম বলেন, মেলা বন্ধ করতে জামায়াতের লোকজন উঠে পড়ে লেগেছে। তাই মাথা ঠিক ছিল না,সাংবাদিক সাজু ভাইকে হয়তো রাগে গালমন্দ করেছি। এ জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। বন্দুক যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন ৬টি মাদক মামলা ছিল তাই পুলিশ বাজার থেকে তুলে নিয়ে পায়ে গুলি করেছিল। এখন সুস্থ্য আছি, ৫ টি মামলা শেষ করেছি। বিচারাধিন রয়েছে একটি মামলা।  

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, জিডি গ্রহন করেছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আলেম সমাজ দাবি করলেও  প্রশাসন অনুমতি দেয়ায় মেলা ভেঙে দেয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।


উল্লেখ্য, ৬টি মাদক মামলার আসামী থাকা অবস্থায় গত ২০১৯ সালের ২৬ মে রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার পান্নাত পাটিকা পাড়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন কালাম। সে ঘটনায় দুইজন পুলিশও আহত হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন


Link copied