আর্কাইভ  সোমবার ● ২০ অক্টোবর ২০২৫ ● ৫ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২০ অক্টোবর ২০২৫
জামায়াতের পিআর আন্দোলন রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়: নাহিদ

জামায়াতের পিআর আন্দোলন রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়: নাহিদ

দায়সাড়া সাক্ষরে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ আছে

রংপুরে সারজিস
দায়সাড়া সাক্ষরে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ আছে

জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস নাহিদের

জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস নাহিদের

নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে: হাসনাত

নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে: হাসনাত

সুদ ব্যবসায়ী হেমন্তীর অত্যাচারে সদর হাসপাতাল কলোনিতে ১২টি পরিবার বাড়িছাড়া

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, রাত ১০:০০

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক :  গতকাল ১৮ অক্টোবর ২০২৫ দুপুর ২:০০ টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্তরে সুদ ব্যবসায়ী হেমন্তি, টুটুল, তপন, রনজিত, জয়, রানা গং এর আক্রমণে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর  বাড়ি ফেরা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আক্রমণকারীদের  গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সদর হাসপাতাল হরিজন কলোনির উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারসমূহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ভুক্তভোগী সজনি রানী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতাল কলোনিতে বসবাসরত পরিবারগুলো সুদ ব্যবসায়ী হেমন্তি রানীর দ্বারা নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। তার কথা মতো চলতে হয়, নাহলে এলাকায় থাকা মুশকিল। তিনি আরও বলেন আমার মায়ের কাছে সুদের টাকা পায়। সেই টাকার জন্য আমাকে মেরে এলাকা ছাড়া করেছে। সদর হাসপাতাল কলোনির সাবেক সভাপতি শাকিল বাসফোরের  মা জেবা রানী বলেন, সুদের টাকার জন্য যাকে তাকে মারধর করে, ঘরে তালা দেয়, নির্যাতন করে।প্রতিবাদ করার জন্য মারধর করে।গত ১৭আগষ্ট, রাতে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার  বড় ছেলে শাকিলের মাথায় হেমন্তির নির্দেশে রনজিত চেয়ার দিয়ে আঘাত করে, এতে মাথা ফেটে যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে তিনটা সেলাই পড়েছে তার মাথায় ।

 

তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়ে এলাকায় থাকতে না পেরে বের হয়ে এসেছি। আমরা থানায় এবিষয়ে মামলা করতে গেলে প্রথমে থানা মামলা নিতে চায়নি।১৫/২০ দিন পর পুলিশ কমিশনার( রংপুর মেট্রো) মহোদয়ের হস্তক্ষেপে মামলা রোকর্ড করলেও এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি।এদিকে মামলা কেন করেছি এজন্য আমার ছোট ছেলকেও মারধোর করেছে আসামিরা। আমাদের অনুপস্থিতিতে আসামিরা  আমার ঘরের টিভি,ফ্রিজ,মোটরসহ সবকিছু লুটপাট করেছে।  আরেক ভুক্তভোগী রেখা রানী বলেন, আমার মেয়ে পছন্দ করে বিয়ে করলে সে আমাদের উপর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।সেই টাকা না দিতে পারায় আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে এলাকা ছাড়া করে ঐ মহিলা ও তার ছেলেরা। সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে আমাদের উপর এভাবে নিপীড়ন করে। আমি এখনও বাড়িছাড়া। আমরা বাড়িছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।

 

ভুক্তভোগী -রানী বাসফোড় বলেন সুদের ব্যবসা করে এবং নানা ছলছুতায় এলাকার লোকের জরিমানা করে হেমন্তী লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে।তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে,সহযোগী সন্ত্রাসী রানা,রনজিত,জয় এবং বাহিরের ভাড়া করা গুন্ডা দিয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।পুলিশ প্রশাসনেও তার বিশাল প্রভাব।নাহলে কয়েকটা মামলা হওয়ার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে না।আসামিরা এলাকাবাসীকে এখনও হুমকি দিচ্ছে,মারধোর করছে,বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে।তিনি দাবি করেন অবিলম্বে সুদ ব্যবসায়ী হেমন্তি, টুটুল, তপন, রনজিত, জয়, রানা গং এর আক্রমণে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর  বাড়ি ফেরা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং  আক্রমণকারীদের  গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন প্রশাসন নিশ্চিত করে।

মন্তব্য করুন


Link copied