স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে উত্তেজনা, হাতাহাতি ও বিামনবন্দরের ডেক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। রবিবার(১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নভোএয়ারের শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে ওই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আটক যাত্রীরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন সরকার ও রংপুরের চিকিৎসক ডাঃ শরীফুল ইসলাম।
বেসরকারি বিমানসংস্থা নভোএয়ার সূত্র জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় নভোএয়ারের একটি ফাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য যাত্রীরা সকাল থেকেই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে অপো করছিলেন। কিন্তু ঢাকা থেকে ওই এয়ারলাইনসের কোন ফাইট না আসায় যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছিলো। পরে যাত্রীদের জানানো হয় আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ফাইট বিলম্বিত হবে। এর মাঝে অন্য একটি বিমান সংস্থার উড়োজাহাজ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তা দেখে নভোএয়ারের যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। উত্তেজিত যাত্রীদের শান্ত করতে সংশ্লিষ্টরা জানায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান মহড়া চলছে এ জন্য কিছুটা দেরি হবে। ১২টার আগে কোন বিমান চলাচল করবেনা। এসময় কয়েকজন উত্তেজিত যাত্রী বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। অভিযোগ রয়েছে তারা লাউঞ্জে নভোএয়ারের ডেক্স ভাংচুর করে। ফলে উত্তেজনা নিরসনে দুইজন যাত্রীকে আটকে রাখা হয়।
আটক যাত্রী জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ী বলে আজ এক জরুরি মিটিং থাকায় ঢাকায় যাচ্ছিলাম। কিন্তু বিমান বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট ম্যানেজার আমাদের মারতে আসেন। নভোএয়ারের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও যাত্রীদের হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই যাত্রী। আমাদের আটক রাখা হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত দুই যাত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কোন ভাংচুর করিনি। আমাদের অপরাধ কি তাও জানিনা। অথচ ওই বিমানের বাকী ৬২ জন যাত্রীকে বেলা ১২ টার ফাইটে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নভোএয়ারের একজন কর্মী জানান, ঢাকা থেকে বিকেল নাগাদ উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে বিষয়টা নি¯পত্তি করবেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সন্ধ্যা ৪ টায় ঢাকা থেকে এসে নভোয়ারের হেড অব মার্কেটিং (অপারেশন) এ আর এম সাদাত। এসময় সৈয়দপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে মিমাংসায় বসেন।
মিমাংসা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হেড অব মার্কেটিং এ আর এম সাদাত সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু তারা আমাদের সম্মানিত যাত্রী তাই আমরা বিষয়টি সহজভাবে নিয়েছি। তারা হয়তো আবেগে কিছু ভাঙচুর করেছেন। তারাও তাদের ভুলের জন্য অনুতপ্ত। তাই বিষয়টি এখানে নি¯পত্তি হয়েছে।