স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৫ জানুয়ারী) গভীর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে অভিযুক্ত স্বামী রানাকে (৩২) তার বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, স্বামী রানার মা রুমির মতামত না নিয়ে ১৬ দিন আগে সৈয়দপুরের কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজি পাড়ার মৃত্যু বাবলু মিয়ার ছেলে রানা। বিয়ের পর কয়েক দিন ভালই কাটছিলো দাম্পত্য জীবন। তবে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
পরে ঘটনার রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে স্বামী-স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী মুক্তাকে। এরপর পরই রানা ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে বলে তোর ভাবি মুক্তাকে মেরে ফেলেছি। মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য। একথা শোনার সাথে সাথে বোন লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পরে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতো। শনিবার(৪ জানুয়ারী) রাতেও আমার মেয়ে মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই অত্যাচারের কথা কাজিরহাট এলাকার বাসিন্দারা আমাকে বলেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, সেহেতু পরিকল্পিত ভাবে তারা মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যা কারির বিচার চাইছি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী রানাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সে। নিহতের পরিবার পক্ষে সৈয়দপুর থানায় মামলার দায়ের করা হয়। বিকালে আসামী রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।