নিউজ ডেস্ক: জুলাই আন্দোলন দমাতে ফোনে হাজারো নির্দেশনা দেন গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ৫ আগস্ট পালিয়ে যখন ভারতের দিল্লিতে তিনি তখন ঢাকায় তার সেই সব কলরেকর্ড মুছে ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা।
তিনি জানান, লোক পাঠিয়ে সেদিন (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এনটিএমসির সার্ভার থেকে মুছে দেয়া হয় শেখ হাসিনার ৪টি নাম্বারের মালিকানার তথ্যসহ প্রায় ১ হাজার কল রেকর্ড। তবে তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তানভীর জোহা আরও জানান, একইসঙ্গে মুছে ফেলা হয় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কল রেকর্ডও।
জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় মোট চারটি ফোন নাম্বারে কথা বলতেন শেখ হাসিনা। যদিও এসব ফোনের মালিকানার তথ্য মুছে ফেলা হয় ৫ আগস্ট সন্ধ্যায়। এনটিএমসির তৎকালিন মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের নির্দেশে ওপেন সোর্সের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এক ব্যক্তি এই তথ্য মোছার কাজ করেন।
এ বিষয়ে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা বলেন, প্রাথমিকভাবে সনাক্ত ৪টি নাম্বারই শেখ হাসিনার। এই নম্বরগুলোর মুছে ফেলা ডিজিটাল এভিডেন্স উদ্ধারে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার কিছু ফোনালাপ উদ্ধার করেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা। যেখানে মারনাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলিসহ নানা নির্দেশনা দিতে শোনা যায় শেখ হাসিনাকে। জুলাই আন্দোলন দমন ও হতাহতের তথ্য গোপন করতে, যখন তখন বন্ধ করে দেয়া হতো ইন্টারনেট। কে জানতো এই ইন্টারনেট সেবা বন্ধই কাল হয়ে উঠবে শেখ হাসিনার জন্য। কারণ বাধ্য হয়ে তখন অনেকের সঙ্গেই ফোনে কথা বলতে হয়েছিলো শেখ হাসিনাকে।