আর্কাইভ  সোমবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন

অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে দেওয়া হলো না’ লিখলেন সাকিব

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে দেওয়া হলো না’ লিখলেন সাকিব

এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ভারতেরই
এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

শেখ হাসিনার মামলায় সরাসরি সম্প্রচারে ১৭ ভিডিও উপস্থাপন

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ০৩:২০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৪তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ১৭টি ভিডিও উপস্থাপন করেছেন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এসব ভিডিও উপস্থাপন করা হয়েছে।

আর এটি গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দুপুরের বিরতির পর সবশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেবেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।

এ সময় আদালতে উপস্থিতি ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, তানভীর হাসান জোহা ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এর আগে শনিবার প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনার মামলার সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন। তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দকৃত ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্পচার করা হবে।

গত বুধবার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা।

তিনি জানান, শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ফোনালাপ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৫৩তম সাক্ষী উপস্থাপনের সময় বাজিয়ে শোনানো হয়েছে। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার এই চারটির ফোনালাপের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও তার আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের একটি ফোনালাপ রয়েছে।

এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য করুন


Link copied