আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২       লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত       রংপুরে জমজমাট গ্রীষ্মকালীন কবিতা উৎসব        দিনাজপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড: আগুনে ভস্মীভূত চারটি যানবাহন       শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি      

 width=
 

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন মেয়র মীরু

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, দুপুর ১১:৪০

ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর রাত ৩টার দিকে মীরুকে সিরাজগঞ্জে নেওয়া হয়। এ সময় ফরিদ নামে তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগ ও সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে মীরুকে শাহজাদপুরে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, মীরুর গ্রেপ্তারের খবর শাহজাদপুরে পৌঁছার পর সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ মিছিল বের করেন। শিমুলের গ্রাম মাদলা-কাকিলামারির বাসিন্দারাও রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা আনন্দ প্রকাশ করে ছুটে যান শিমুলের বাড়ি। ওই সময় নিহতের স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনের মধ্যে আবারও কান্নার রোল পড়ে; সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি শিমুল নিহত হওয়ার পর থেকেই মীরুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিক সমাজ।

যেভাবে গ্রেপ্তার মীরু : ডিবি পুলিশ ও সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, ঢাকার আদাবরের একটি বাসায় আত্মগোপনে রয়েছেন হালিমুল হক মীরু। তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বাসাটি শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। তবে আদাবর এলাকায় মীরু রয়েছেন—তা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে তাঁকে ধরতে নতুন কৌশল নেওয়া হয়। আদাবর থেকে বের হওয়ার প্রতিটি সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ছদ্মবেশে পুলিশের সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রতিটি দলে এমন একজনকে রাখা হয়েছিল, যিনি মীরুকে ভালোভাবে চেনেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে মীরুকে দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। তিনি কোনো ছদ্মবেশ বা মুখোশ ধারণ করেননি। তাৎক্ষণিকভাবে ডিবি ও সিরাজগঞ্জের জেলা পুলিশের যৌথ দল শিমুলের ঘাতককে গ্রেপ্তার করে। চালক ফরিদকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই তাঁদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পুলিশ সুপার মিরাজউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মীরু জানান, মোটরসাইকেলে রাজধানীর পল্লবীতে একটি বাসায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। ওই বাসায় একজন আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের জন্য সময় নির্ধারণ করা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পূর্বপরিচিত ফরিদের মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন তিনি। ফরিদের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। তবে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। আদাবরে মীরু তাঁর এক ভাইয়ের বাসায় ছিলেন। তবে কোন সম্পর্কের ভাই, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার মিরাজউদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার রাতে বাসা থেকে বের না হলে মীরুকে ধরা সহজ হতো না। তিনি ভেবেছিলেন, মোটরসাইকেলে রওনা হলে তাঁকে কেউ সন্দেহ করবে না। গ্রেপ্তার এড়াতে মরিয়া মীরু মোবাইল ফোনে যোগাযোগ না করে সশরীরে তাই আইনজীবীর কাছে যাচ্ছিলেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied