তবে অন্যদিকে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এ দলের নির্বাচনে যাওয়ার কোন প্রশ্ন আসেই না। এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আমাদের দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
জানাগেছে, জাপা থেকে মনোনয়ন নিয়ে পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া সদর, বরিশাল সদর, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯ ও চট্টগ্রামের ছয়টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতা। নির্বাচনে অংশ নিতে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। আর এ নির্বাচনে হেফাজতের সমর্থন পেতে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়া উদ্দিন বাবলু ও সোলায়মান শেঠকে।
জাপার নেতারা এরশাদের নির্দেশে সম্প্রতি হেফাজত ও খেলাফত যুব মজলিসের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন ও কারী গোলাম মোস্তাফা বেলালীর সাথে এরশাদের বারিধারার বাসভবনে বৈঠক করেন। এ সময় জাপার দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন সিনিয়র নেতাসহ দু’ দলের আরো কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেয়া হেফাজতের নেতারা সাবেক রাষ্ট্রপতির কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। এরশাদ হেফাজত নেতাদেরকে আস্বস্ত করেন যে, তারা নির্বাচনের জন্য যে আসন চাইবেন তা দেয়া হবে। উপস্থিত হেফাজতের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন পিরোজপুর-মঠবাডিয়ার আসনসহ চট্রগ্রামের ৬টি আসন দাবি করেন। এ সময় এরশাদ পিরোজপুর-মঠবাড়িয়ার আসন নিয়ে দ্বিমত করেন। বিকল্প আসন হিসাবে পটুয়াখালী সদর আসন দেয়া যেতে পারে বলে মত দেন।
এদিকে হেফাজতের নেতা মুফতি নাসির জাপা থেকে মনোনয়ন নিয়ে পিরোজপুর-মঠবাড়িয়ার আসনে নির্বাচনে জন্য জোরলবিং চালাচ্ছেন। তবে এরশাদ এই আসন দিতে নারাজ। জাপা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে ঐ আসন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ছেড়ে দিতে হবে। তাই আসনটি ধরে রাখতে চান তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, হেফাজত এরশাদের সমার্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। কারন জাপার সমার্থনের সাথে হেফাজতের সমর্থন মিল করে ওই আসনগুলো জয় করা সম্ভব। হেফাজত নেতারা কয়েকবার এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।