বিশেষ প্রতিনিধি॥ এক পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডে গড়িমসির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) রাত ১১টায় উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন থেকে আসামী আটক করে থানায় নেয়া হলেও আজ বুধবার রাত পনে ৮টা পর্যন্ত ওসি মামলা রেকর্ড করেনি। এমন কি পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ও তার বাবা মাকেও থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায় গতকাল ৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বদলিরাম গ্রামে বাবর আলীর পঞ্চম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে ছাগল আনতে যায়। তাকে গ্রামের পাটক্ষেতে একা দেখতে পেয়ে একই গ্রামের মৃত মাহাতাব আলীর ছেলে মহির উদ্দিন(৫০) মেয়েটিকে জোড়পূর্বক পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। মেয়েটির আতœচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ধর্ষনের চেষ্টাকারীকে আটক করে।
এরপর বিকালে মেয়ের বাবা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করে মামলা দায়েরের আবেদন করেন। পুলিশ রাতে গিয়ে আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আজ বুধবার সকালে মেয়ে ও তার বাবা মাকেও থানায় নিয়ে রাখা হয়। সারাদিন পার হলেও রাত পনে আটটা পর্যন্ত ওসি মামলা রেকর্ড না করে আসামীকে আদালতে প্রেরন করেনি। এমন অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান কিছুক্ষনের মধ্যে মামলা রেকর্ড হবে।
বিষয়টি এলাকার সচেতন মহল বিরূপ মন্তব্য করে ওসির অপসারন দাবী করেন। এলাকাবাসী জানায় গত রমজান মাসেও ওসির ভুলের কারনে উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নে কালিকাপুরে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধেছিল। ঘটনাটি তোলপাড় সৃস্টি হলেও ওসি অপসারন হয়নি।
