আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২       লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত       রংপুরে জমজমাট গ্রীষ্মকালীন কবিতা উৎসব        দিনাজপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড: আগুনে ভস্মীভূত চারটি যানবাহন       শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি      

 width=
 

কিশোরীগঞ্জে কেশবা মাদ্রাসা ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধ

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০, বিকাল ০৬:৪৫

বিশেষ প্রতিনিধি॥ ব্যাপক অনিয়মের কারনে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার কেশবা মাদ্রাসার ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহিনুর ইসলাম আজ মঙ্গলবার(২৮ জুলাই/২০২০) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান,তদন্ত শেষে ওই মাদ্রাসার ভবনের নির্মান কাজ পুনরায় শুরু করা হবে। জানা গেছে, উক্ত উপজেলার সকল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে এই মাদ্রাসাটি ব্যবহার করা হয়। মাদ্রাসাটিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারনে কারিগরি শিক্ষা বিভাগের বাস্তবায়নে ও নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে চারতলার একটি ভবন নির্মাণের জন্য তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পান দিনাজপুরের মা এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মুল ঠিকাদারের নিকট হতে কাজটি হাত বদলে ভবনের কাজ শুরু করে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মেসার্স শাহিন এন্টার প্রাইজ। তিনি দুই কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬১ টাকা ৮৭ পয়সায় কাজটি করছেন। নির্মান কাজটি ১৮ মাসের মেয়াদে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী শুরু করেন। করোনা ভাইরাসের লকডাউনের কারনে দীর্ঘ সময় নির্মান কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় কাজ শুরু করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, কাজের শুরুতেই প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের নিম্নমানের বালু , ইটের খোয়া এবং মান সম্মত সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের একদিনের মাথায় সমস্ত খোয়া বের হয়ে পড়ে। এমনকি গ্রেট বিম হেলে পড়ে। নক্সা অনুযায়ী ভবন নির্মানের রড ব্যবহার না করায় এ পরিস্থিতি সৃস্টি হয় বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার শাকিল আহম্মেদ। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ঠিকাদারকে সাহসজুগিয়ে নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ দিয়ে ফায়দালুটার চেষ্টা করছে। কেশবা ফাজিল মাদ্রাসার সুপার জালাল উদ্দিন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রসা ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঠিকাদার বেশি করে বালু এবং কম করে সিমেন্ট ব্যবহার করছিল। পরে তাৎক্ষনিক বিষয়টি তদারকি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এদিকে মাদ্রাসা ভবনের এই ঘটনায় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক রেজাউল ইসলাম স্বপন বলেন, উন্নয়ন কাজে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এমন কথা তিনি কেন বললেন জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্মান কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। সাংবাদিকরা নিউজ কেন করবে। ঠিকাদার শাহিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কাজে একটু উনিশ বিশ হতে পারে এটা কোন বিষয় না। নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ভবন নির্মাণের তদারকি কর্মকর্তা লতিফুর রহমান লিখন বলেন নির্মানাধীন ভবনের একটি কলামের এ্যালাইনম্যান্ট ঠিক না থাকার কারনে সেটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে কলাম নির্মাণ করা হয়েছে। নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহিনুর ইসলাম বলেন কেশবা মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্রুত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied