আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২       লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত       রংপুরে জমজমাট গ্রীষ্মকালীন কবিতা উৎসব        দিনাজপুরে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড: আগুনে ভস্মীভূত চারটি যানবাহন       শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি      

 width=
 

রংপুরে রাস্তা সংস্কারে ফাঁকি; কার্পেটিং তুলে ফেলার নির্দেশ

বুধবার, ৬ মে ২০১৫, দুপুর ১২:৪৭

ফলে গতকাল মঙ্গলবার এলজিইডি’র জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা এবং ওই প্রকল্পের কর্মকর্তারা সদ্য কার্পেটিং করা রাস্তার প্রায় ১ কি.মি অংশ কার্পেটিং উত্তোলন কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় সচেতন জনতা নিুমানের কাজের অভিযোগে প্রাতিবাদ করলেও ঠিকাদার তাতে কর্নপাত করেনি। ফলে কার্পেটিংয়ের একমাস যেতে না যেতেই তা উঠে যেতে শুরু করে।

পীরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি’র সুত্রে জানা গেছে, জাপানী দাতা সংস্থা জাইকা’র অর্থায়নে ‘নর্দার্ন বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (নবিদেপ) এর অধীনে পীরগঞ্জের বড়দরগা-মাদারগঞ্জ পাকা রাস্তা (আইডি নং-১৮৫৭৬২০০২) সংস্কারে টেন্ডারের মাধ্যমে ‘মেসার্স পিটি এন্ড এমআর জেবি’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। যার টেন্ডার আইডি নং-৬০৮৬। ওই রাস্তার ১৩ দশমিক ৭৬০ কি.মি কার্পেটিং ও রাস্তার উভয়পার্শ্বে ২ ফিট করে বর্ধিতকরণসহ সংস্কার কাজে জাইকা ৬ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থের ৫ শতাংশ কমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির সাথে ৫ কোটি ৭৩ লাখ, ১ হাজার ২৩৯ টাকা চুক্তি হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ পাওয়ার পর থেকেই সংস্কারে নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার করে। ফলে এতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ উঠে যেতে থাকলে স্থানীয় জনতা কাজ বন্ধ করে দেয়। জনতার অভিযোগ ও বাঁধাকে উপেক্ষা করে উপজেলা এলজিইডি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে আবারো কাজ শুরু করে।

শানেরহাট ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া জানান- বড়দরগা থেকে শানেরহাট হয়ে মাদারগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কার কাজের ঠিকাদার বিএনপিপন্থী। ওই ঠিকাদার সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতেই রাস্তাটি সংস্কারে নানা ধরনের ঘাপলা করছে।

গত শুক্রবার প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ও প্রকল্পের পরিচালক এনায়েত উল্লাহ ওই রাস্তার কাজ পরিদর্শনে এসে মাটি পরীক্ষা না করে কার্পেটিং করায় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সদ্য কার্পেটিং করা রাস্তার ১ কি.মি অংশ তুলে ফেলার নির্দেশ দেন।

ওই নির্দেশের পর গতকাল মঙ্গলবার জাইকার ওই প্রকল্পের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার- আব্দুর রাজ্জাক, আবাসিক ইঞ্জিনিয়ার (আরই)- বিজয় কুমার, ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার (এফই)- মঞ্জু মিয়া, এ্যাসিসটেন্ট ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার (এএফই)- শফিকুল ইসলাম, কাজটির তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী- আলতাব হোসেন, ল্যাপ টেকনিশিয়ান- নাজির হোসেন উপস্থিত থেকে কার্পেটিং উত্তোলন করে। পাশাপাশি মাটি পরীক্ষার জন্য রাস্তার নমুনা নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কাজটির তদারকি কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী আলতাব হোসেন জানান- রাস্তাটির ৬ হাজার ২’শ কিমি থেকে ৭ হাজার কি.মি পর্যন্ত স্থানের কার্পেটিং তুলে ফেলা হচ্ছে। সেই সাথে ২ হাজার ৭’শ কি,মি পর্যন্ত রান্তার ১’শ মিটার পরপর পরীক্ষার জন্য মাটি ও অন্যান্য উপকরণ নেয়া হচ্ছে। আপনারা টেলিভিশনে দেখান আর পেপারিং করেন, তাতে কোন যায় আসে না।

এ ব্যাপারে ওই প্রকল্পের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার- আব্দুর রাজ্জাক বলেন- কার্পেটিংয়ের আগে মাটি পরীক্ষা না করা, রাস্তা অপরিষ্কার, নির্মান সামগ্রী নিম্নমানের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পিটি এন্ড এমআর জেবি’ এর সত্ত্বাধিকারী মশকুর রহমান সংস্কার কাজে ঘাপলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- মাটি পরীক্ষা করে রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে। কার্পেটিং তুলে ফেলায় আমার ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন- ২ হাজার ৭ মিটার রাস্তা ডাবি¬উ বিএম করা হয়েছে। যা আগে থেকেই সমস্যা ছিলো। এর মধ্যে প্রায় ১ কি:মি: কার্পেটিং করা হয় । যা তুলে ফেলা হচ্ছে। কাজটি হয়েছে আমার যোগদানের অনেক আগে। মাটি পরীক্ষার পর ২ হাজার ৭’শ মিটার রাস্তার কাজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied