নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও এক শিক্ষকের বাধার মুখে পড়েছেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) তারা এ বাধার মুখে পড়েন।
জানা গেছে, কলেজ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাসে বরখাস্ত হওয়া অফিস সহকারী স্মৃতি ইসলাম। দুই মাস আগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে সে সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। পরে তাকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং তার অনুপস্থিতিতে রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফোন করে দুপুর ১২টার মধ্যে তার জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। সে সময় সংবাদ সংগ্রহে গেলে এক ছাত্রলীগ কর্মী ও কলেজটির সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তারী সালেহীনের বাধার মুখে পড়েন কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
সাংবাদিকরা তার সঙ্গে সরাসরি লাইভে কথা বলার চেষ্টা করলে বাধা দেন ২০১৮-১৯ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নয়নমণি, তার রুমমেটসহ আরেক শিক্ষার্থী।নয়নমণির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন প্রোগামে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে।
সাংবাদিক সমিতির সদস্যসচিব তানজিলা আক্তার মাসুমা বলেন, লাইভ সম্প্রচারের সময় নয়নমণি এসে বাধা দেন এবং লাইভটি ডিলিট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না, কোন যুক্তিতে সাংবাদিকতামূলক কাজে এভাবে হস্তক্ষেপ করা হলো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নয়নমণি বলেন, আমি আসলে বাধা দিইনি, শুধু বলেছি লাইভে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি থাকা উচিত। যদি উনি (স্মৃতি ইসলাম) মিথ্যা বলেন, সেটা সরাসরি সম্প্রচার করলে সমস্যা হতে পারে। তাই ডিলিট করতে বলেছি।
এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তারী সালেহীন গণমাধ্যমকে বলেন, অডিও রেকর্ডিং অনুমতি ছাড়া করা ঠিক হয়নি। বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনারা সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে কথা বলতে পারেন।