আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫ ● ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

বেরোবিতে ফেলানী হলে হল প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগ 

সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ০৪:৩১

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) নারীদের একমাত্র হল শহীদ ফেলানী হলের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে সিট বাতিল করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। 
 
শহীদ ফেলানী হলের অবস্থানরত নারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল রাত ৮ টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় আমাদের অনেক সময় টিউশন থাকে। তখন ৮ টার পরে আসলে নিরাপত্তা প্রহরী ময়েন সরকার আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমরা বাহিরে গেলে উনি আমাদের সিট বাতিলের হুমকি দেন। 
 
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা হলে আমরা যখন হল প্রভোস্টকে ফোন দেই তখন উনি আমাদের উনার বিভাগে যেতে বলেন। এমনকি একদিন হলে ডাইনিংয়ে রান্না না হওয়া আমরা হল প্রভোস্টকে জানালে তিনি বলেন তোমরা শুকনো খাবার খেয়ে থাকো। আমাদের সাথে হলে বসার কথা থাকলেও তিনি আসে না। পুরো প্রভোস্টবডি মাসে দুই একবার আসেন। এছাড়া আর উনাদের দেখাই যায় না। উনারা আমাদের কোনো বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখেন না৷ 
 
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, হলের গেস্ট রুম না থাকায় আমাদের বাবা, বড় ভাই বা কোনো আত্মীয় আসলে তাদের গেটের বাহিরে রাখতে হয়। এইটা সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে। 
 
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেলানী হলের নিরাপত্তা প্রহরী ময়েন সরকার বলেন, আমি সিট বাতিল করার কে। আমি কি সিট বাতিল করতে পারিনি? আর আমি এমন কোনো কথা কাউকে বলিনি। 
 
তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের ফোর্স করতে হয়। প্রভোস্ট বডি যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেইভাবেই কাজ করি। 
 
এ ব্যাপারে ফেলানী হলের প্রভোস্ট ড. মোছাঃ সিফাত রুমানা বলেন,  হলের সমস্যা শুনেই আপনার সাথে কথা বলা অবস্থায় বৃষ্টির মধ্যে হলে যাচ্ছি। হলের প্রভোস্টই আছে হলের শিক্ষার্থীদের জন্য৷ 
 
দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে বলেন, হলে কোনো দায়িত্ব অবহেলা নেই। ওরা (আবাসিক শিক্ষার্থী)  যখন কল করে তখনই বলি আমার বিভাগে আসো। এর এখনে তো অ্যাকাডেমিক ভবন বেশি দূরে না। হল প্রভোস্ট তো সারাদিন হলে থাকেন না। তার ক্লাস পরীক্ষা অন্যান্য কাজ থাকে। সে সুবাদে তাদের বিভাগে আসতে বলি। 
 
রাত ৮ টায় হল বন্ধের ব্যাপারে ড. রুমানা বলেন, এইটি আগের নিয়ম। যখন হল তৈরি করার হয় তখনকার নিয়ম। আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি। এ ব্যাপারে তো আমার কিছু করার নেই।

মন্তব্য করুন


Link copied