আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫ ● ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

রয়টার্সের প্রতিবেদন

যেভাবে ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’ ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, রাত ০৯:৪২

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৭ মে’র ঘটনা। মধ্যরাতের ঠিক পরপরই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অপারেশন রুমের স্ক্রিনে জ্বলতে শুরু করে লাল আলো। শনাক্ত হয় ভারতের আকাশসীমায় সক্রিয় ডজনখানেক শত্রু বিমানের অবস্থান।

ভারতের হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই পাকিস্তানের এয়ার চিফ মার্শাল জহির সিদ্দিকি (জহির সিদু) ওই দিনগুলোতে অপারেশন রুমের পাশে একটি ম্যাট্রেসেই ঘুমাতেন। ভারতের কাশ্মীরে একটি জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। যদিও পাকিস্তান দায় অস্বীকার করে। কিন্তু ভারত প্রতিশোধের ঘোষণা দেয় এবং সেই হামলা বাস্তবায়িত হয় ৭ মে ভোরে পাকিস্তানে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে,  এয়ার চিফ মার্শাল সিদ্দিকি পাকিস্তানের চীনা তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমানগুলোকে আকাশে পাঠাতে নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তাদের লক্ষ্য হবে ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল জেট- যা কখনও যুদ্ধে ভূপাতিত হয়নি। 

এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কর্মকর্তা বলেন, তিনি চেয়েছিলেন রাফাল ভেঙে ফেলতে। ঘণ্টাব্যাপী এই রাতের আকাশযুদ্ধে প্রায় ১১০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে- যা সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ। 

পাকিস্তানি জে-১০সি বিমানের ছোড়া পিএল-১৫ মিসাইল রাফালে ভূপাতিত করে বলে মে মাসে রয়টার্স জানায়, যা সামরিক মহলে আলোড়ন তোলে। কারণ এটি দেখায় যে, পশ্চিমা প্রযুক্তি চীনা অস্ত্রের তুলনায় সব সময় এগিয়ে নেই।

ভারতীয় কর্মকর্তারা পরে স্বীকার করেন যে, বড় সমস্যা ছিল গোয়েন্দা বিশ্লেষণে। তারা ভুলভাবে বিশ্বাস করেছিলেন পিএল-১৫ মিসাইলের পাল্লা ১৫০ কিলোমিটারের মতো- যা আসলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বা তার বেশি। এর ফলে রাফাল পাইলটরা মনে করেছিলেন তারা নিরাপদ দূরত্বে আছেন এবং সেই আত্মবিশ্বাসই কাল হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তান এ যুদ্ধে কিল চেইন (বহুস্তরীয় সেন্সর ও অস্ত্রের সংযুক্তি) কৌশল ব্যবহার করে। পাকিস্তানের ডাটা লিঙ্ক ১৭ নামের নিজস্ব প্রযুক্তি চীনা যুদ্ধবিমান, সুইডিশ তৈরি নজরদারি বিমান ও স্থলসেনার মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে- যা রাডার বন্ধ রেখেও জে-১০ জেটগুলোকে কার্যকর আক্রমণে সক্ষম করে। ভারত এখনও এমন একটি সিস্টেম গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় আছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের তৈরি যুদ্ধবিমান থাকায় তা জটিল বলে জানান ভারতীয় কর্মকর্তারা।

ভারত সরকার এখনও রাফাল ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি। তবে ফ্রান্সের এয়ার চিফ ও ডেসাল্ট (রাফাল নির্মাতা) এক্সিকিউটিভরা এই বিষয়ে পরোক্ষভাবে তথ্য দিয়েছেন। এর ফলে ডেসাল্টের শেয়ারপতন ঘটে এবং ইন্দোনেশিয়া, যারা রাফাল কিনছিল, তারা এখন জে-১০সি কেনার কথা ভাবছে- যা চীনের জন্য কৌশলগত বিজয়।

ভারতের ডেপুটি আর্মি চিফ অভিযোগ করেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ‘লাইভ ইনপুট’, যেমন রাডার ও স্যাটেলাইট ডাটা পেয়েছিল। যদিও পাকিস্তান ও চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সামরিক সহযোগিতা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের অংশ এবং তা কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য করুন


Link copied