আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫ ● ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

‘অভ্যুত্থানে শিবির ভূমিকা রেখেছে জনশক্তি দিয়ে, ছাত্রদল প্রতিরোধ করেছে ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে’

সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, রাত ০৮:৩৭

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: দলীয় বা আদর্শিক বিরোধের জেরে জুলাই গণ- অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।

‘জুলাই আমাদের সবার’ শিরোনামে দেয়া সেই পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘দলীয় বা আদর্শিক বিরোধের জেরে জুলাই গণ- অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত না। এখানে শিবির ভূমিকা রেখেছে তাদের 'জনশক্তি' ও কো-অর্ডিনেশন দিয়ে। বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে শিবিরের কর্মীরা অভ্যুত্থানকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ক্ষেত্র বিশেষ চালিয়ে নিয়ে গেছেন।’ 

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ছাত্রদল ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে প্রতিরোধ করেছে, প্রতিরোধ স্পটগুলোতে লড়াই করেছে, তৃণমূলে লীগকে প্রতিরোধ করেছে। ছাত্রশক্তি কো-অর্ডিনেট করছে মাঠে-সামনে থেকে, সিভিল সোসাইটি আর কালচারাল সার্কেলে এবং আস্থা তৈরি করতে পেরেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা সারাদেশে প্রতিরোধ গড়েছেন এবং আগের কোটা আন্দোলনের লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।’ 

মাহফুজের ফেসবুক পোস্টের একাংশ

মাহফুজের ফেসবুক পোস্টের একাংশ

উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, ছাত্র ফেডারেশন ও অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনগুলো মাঠ ও বয়ান ধরে রাখসে, বামপন্থী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো জুলাইয়ের শেষ দিনগুলোতে মাঠে নেমে জনগণেএ মধ্যে  সাহস সঞ্চার করেছে। আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্ররা রাজপথে নেমে দীর্ঘসময় প্রতিরোধ ধরে রেখেছিলেন। যাত্রাবাড়ী যার উজ্জ্বল উদাহরণ। শ্রমজীবীরা এবং প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধের স্পটগুলোতে দীর্ঘসময় লড়াই করেছে, রিক্সাচালক ও নিম্ম, নিম্ম-মধ্যবিত্ত মানুষেরা প্রতিরোধ গড়েছেন।’ 

মাহফুজ আলম আরও লিখেছেন, ‘নারীরা রাজপথে লড়েছে এবং আহতদের সহযোগিতা করেছে। অভিভাবক বিশেষ করে মায়েরা, বোনেরা কার্ফিউর দিনগুলোতে এবং জুলাইয়ের শেষ থেকে রাস্তায় নেমে সাহস জুগিয়েছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধের স্পটগুলোতে নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়ে অভ্যুত্থান এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিক সমিতি ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অভ্যুত্থানের পক্ষে নীরব অথচ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।’ 

পোস্টের বাকি অংশ

পোস্টের বাকি অংশ

তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের একটা অংশ বিদ্রোহ করে অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়েছেন। উঠতি মধ্যবিত্ত জুলাইয়ের শেষদিকে নেমে অভ্যুত্থানকে আরো ব্যাপক করেছেন। পেশাজীবী সংগঠনগুলো এবং সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া কর্মীরা জুলাইয়ের শেষদিকে একাত্মতা প্রকাশ করে অভ্যুত্থানকে শক্তিশালী করেছেন। প্রবাসী শ্রমিক,  চাকুরে এবং প্রফেশনালরা জুলাইকে, বাংলাদেশের লড়াইকে বৈশ্বিক করতে ভূমিকা রেখেছেন। কবি, সাহিত্যিক, পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার এবং র‍্যাপাররা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। জনগণের লড়াইয়ের কার কোন অবদান অস্বীকার করবেন?’

মন্তব্য করুন


Link copied