আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫ ● ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৫ আগস্ট ২০২৫
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য

রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ আজ, দিনব্যাপী যত আয়োজন

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ

সিলেটে সেই অস্ত্রধারীরা ‘হাওয়া’

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, রাত ০১:৫২

Advertisement

আন্দোলনকারীদের ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ক্যাডাররা ♦ পতনের পর গা ঢাকা দেন ♦ উদ্ধার হয়নি অস্ত্রও

নিউজ ডেস্ক: 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যখন সিলেট উত্তাল তখন অস্ত্রহাতে মাঠে নেমেছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররা। ১৮ জুলাই মহানগরের আখালিয়া, ৪ আগস্ট কোর্ট পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েছিলেন তারা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়ন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘হাওয়া’ হয়ে যান অস্ত্রধারীরা। কেউ ছাড়েন দেশ, আর কেউ দেশের ভিতর দেন গা ঢাকা। পরে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও অস্ত্রবাজদের টিকিটি ছুঁতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলো। পুলিশ বলছে, অস্ত্রধারীরা সিলেট ত্যাগ করায় তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অস্ত্রবাজদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

সূত্র জানান, আধিপত্য ও শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কয়েক বছর ধরে সিলেটে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপের ক্যাডাররা অস্ত্র মজুত শুরু করেন। ভারত থেকেই তারা সংগ্রহ করেন অস্ত্রগুলো। চোরাচালানে জড়িয়ে অল্প সময়ে বিপুল অর্থকড়ির মালিক বনে যান। আর এ কাঁচা টাকা ক্যাডাররা বিনিয়োগ করেন অস্ত্র কেনায়। বিভিন্ন সময় অপরাধ কর্মকাণ্ডে এসব অস্ত্র প্রদর্শিত হলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সেগুলো উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। পরে নগরবাসী এসব অস্ত্রের ভয়াবহ মহড়া ও ব্যবহার দেখতে পায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই নগরের আখালিয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে অস্ত্রহাতে চড়াও হন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররা। পরে ৪ আগস্ট সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ক্যাডার বাহিনী।

ওইদিন প্রদর্শিত কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখে হতবাক হয় নগরবাসী। তৎকালীন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন শিবলুর হাতে ওই সময় দেখা যায় অত্যাধুনিক একটি আগ্নেয়াস্ত্র। যেটি এম-১৬ রাইফেল বলে দাবি করছেন অনেকে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মীকে অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ভিডিও ও ছবি দেখে কিছু অস্ত্রধারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ত্রধারীদের কেউ কেউ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, আবার কেউ সিলেটের বাইরে আত্মগোপনে আছেন। যে কারণে তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied