প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে ভোট চুরি করেছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। জনগণ ভোটচোরদের ক্ষমা করে না।
তিনি আরও বলেন, ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমি আশা করি, আর কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উত্থাপন করার সুযোগ পাবে না।
বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি উপনির্বাচন হলো। একটিতে জাতীয় পার্টি জিতেছে। একটিতে বিএনপির একজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন, তারপর তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়ে আজ সংসদে এসেছেন। এছাড়া একটা আমরা দিয়েছিলাম রাশেদ খান মেননকে, সেখানে জাতীয় পার্টি জিতে এসেছে। হাসানুল হক ইনুকে দিয়েছি বগুড়ায়, সেটা জিতে এসেছে। বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই সিটে নৌকা মার্কা জয়লাভ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিন্তু জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে, আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। কাজেই নির্বাচন যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। সেটাই কিন্তু এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, আমি আশা করি এরপর আর কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উত্থাপন করার সুযোগ পাবে না। কারণ আমরা ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি। এ দেশের মানুষ এর আগেও নির্বাচন দেখেছে। জিয়ার শাসনামলে হ্যাঁ-না ভোট দেখেছে। বিএনপি আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছে। আমরা আবার মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনেছি।
আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভাষণটাই তার শেষ ভাষণ। কারণ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কেউ পরপর দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি থাকতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি তিনি অত্যন্ত প্রাণবন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার সময়ে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন এবং ভাষণ দিয়ে গেছেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও তিনি সংসদকে প্রাণবন্ত রেখেছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবেও সফল এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর স্নেহে রাজনীতি করেছেন। বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।