আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, রাত ০৯:০৬

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে অর্থনীতি বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা মারামারিতে জড়ান। এসময় ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে মারধর করেন তারা।

অভিযুক্তরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আফসানা পারভীন টীনা, একই বর্ষের নাহিদ হাসান, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত, পান্না এবং ২০২২-২৩ বর্ষের সাইফুল ইসলাম, হৃদয়, রাকিব, অজিল, মশিউর রহমান রিয়নসহ ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আরিফ বিল্লাহ এবং একই বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী ও জাতীয় দৈনিক আজকালের খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রবিউল আলম, একই সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বার্তা২৪- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুরে আলম।

ভুক্তভোগী আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‌‘ফুটবল মাঠে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনাটি আমি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মোবাইলে ভিডিও করছিলাম। এসময় আফসানা পারভীন টীনা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে একযোগে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী আমাকে ঘিরে ধরে অকথ্য গালাগালি ও শারীরিকভাবে মারধর করে।’

নুরে আলম বলেন, ‘আমি ভিডিও করতে গেলে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী আমাকে ক্যামেরা বন্ধ করতে বলে মারধর করে। এসময় কয়েকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এলে তাদের ওপর ফের হামলা চালায় তারা। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে রবিউল আলমকেও হামলার শিকার হতে হয়। সাংবাদিক রবিউল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে হট্টগোলের শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে দেখি আমার সহকর্মী সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহকে কিছু শিক্ষার্থী ঘিরে মারধর করছে। আমি ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে কয়েকজন আমার ওপর চড়াও হয়। তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং বলে, ‘ওরে ধর, ভিডিও থাকলে ডিলিট দে’।”

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। অর্থনীতি বিভাগের নাহিদ হাসান আমার তলপেটে লাথি মারে। এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানীসহ কয়েকজন উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠান।’

রবিউল আলম জানান, এর আগে ২০ এপ্রিল বৈশাখী মেলায় একটি সংবাদ প্রকাশের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন নাহিদ হাসান।

এদিকে এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা, প্রক্টর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাঠে উপস্থিত হন। এসময় ইনকিলাব প্রতিনিধি রাকিব রিফাত উত্তেজিত হয়ে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন নামের একজন বলেন, ‘আমি বাইরে হট্টগোলের আওয়াজ শুনে এগিয়ে যাই। তখন দেখি কয়েকজন মিলে একজন সাংবাদিককে মারছে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান বলেন, “আমাদের বিভাগের আন্তঃসেশন খেলা হচ্ছিল। তখন বল আউট হওয়া না হওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। জুনিয়র একজন ‘স্যরি’ বলে সমাধান করা হয়। এসময় আমি সাংবাদিক কাউকে মারিনি। আমার গলা ধরেছে তখন আমি কী করবো?” এ কথা বলেই উত্তেজিত হয়ে প্রতিবেদকের কল কেটে দেন তিনি।

আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আফসানা পারভিন টিনাকে একাধিকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।

অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. পার্থ সারথি লস্কর বলেন, ‘আজ অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলা ছিল। শুনেছি সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানে ঠিক কী হয়েছে জানি না। বিষয়টি নিয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’

মন্তব্য করুন


Link copied