আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছেন

উত্তরাঞ্চলে নিত্যপণ্যে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি মিললেও চালের বাজারে পুরো অস্বস্তি

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, বিকাল ০৫:৫৮

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে প্রতি বছর আমন, আউশ ও বোরো ফসলের উৎপাদন হয় ১ কোটি সাড়ে ২২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। মোট উৎপাদন থেকে চাহিদা বাদ দিয়ে এক বছরে এ অঞ্চলে খাদ্যের উদ্বৃত্ত থাকছে ৫৬ লাখ মেট্রিক টনের ওপর। কিন্তু উদ্বৃত্ত ধানের দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। অন্যান্য নিত্যপণ্যে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি মিললেও চালের বাজারে পুরো অস্বস্তি। আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়ে বর্তমানে বোরো খেত পরিচর্যা চলছে। গত এক সপ্তাহে ৫০ কেজির বস্তায় সরু চালের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

শুধু তাই নয়, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানিকারকরা চালও এনেছেন। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সেই চাল বাজারে বিক্রি না করে গুদামজাত করে রেখেছেন। এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা আর কদিন পরে হাওর অঞ্চলে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। তখন দাম কমে যাবে। রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন চাল বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ২৫ কেজির বস্তা ১৯৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বর্তমানে ওই চাল বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ টাকা।

 

প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালের দামও কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ও ব্রিধান-২৯ জাতের মোটা চালের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ৫০ থেকে ৫২ টাকা। খুচরা বাজারে ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিকন চালের মধ্যে মাঝারি মানের চালের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের চিকন চাল (নাজিরশাইল ও জিরাশাইল) যা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতি বছর অর্ধলাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত থাকে। এর পরেও এই অঞ্চলের চালের দাম কমছে না। এখন আমন ধানের ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে চালের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ হাতে গোনা কিছু অটো রাইসমিল ও মজুতদার সিন্ডিকেট করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।

 

নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার চালের আড়তদার রফিক মিয়া চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানান, সম্প্রতি পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানিকারকরা চাল আমদানি করে তা বাজারে না ছেড়ে অনেকেই গুদামজাত করে রেখেছেন বেশি দাম পাওয়ার আশায়। তিনি বলেন, ছোট ছোট হাসকিং মিলগুলো এখন আর চলে না। বড় অটো রাইস মিল মালিকরা কমদামে ধান কিনে মজুত করে নানা অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় কৃষক ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে রেখে দিয়েছে। তারা বাজারে চাল বিক্রি করছে না। ফলে চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied